ডিসেম্বরে কিন্তু মশার দাপট অব্যহত।
কলকাতা ডেঙ্গু
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীত পড়লেই ডেঙ্গি উধাও হয়ে যাবে। তখন আর চিন্তা করতে হবে না। বিধানসভায় দাড়িয়ে মাস খানেক আগে এমনই অভয় দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। কিন্তু বাস্তবে পরিস্থিতি বেশ অন্যরকম। স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট জানাচ্ছে, ডেঙ্গির (Kolkata Dengue) চোখ রাঙানি রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারলে, বিপদ কিন্তু বাড়বে।
স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই দেখা গিয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা শতাধিক। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে গড়ে দৈনিক আক্রান্ত ছিলো ১৮৯ জন। দ্বিতীয় সপ্তাহে দৈনিক আক্রান্ত বেড়ে হয় ১৯২ জন। চলতি সপ্তাহেও দৈনিক সংক্রমণ (Kolkata Dengue) শতাধিক হয়েছে বলেই আশঙ্কা স্বাস্থ্য দফতরের।
বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, শীতে মশার (Kolkata Dengue) দাপট কমে। আবহাওয়ার তারতম্যের জেরেই মশাবাহিত রোগের সংক্রমণ কমে। শীতে মশার প্রজনন শক্তি কমে যায়। আর মশা মূলত বংশবিস্তারের জন্য কামড়ায়। তাই শীতে মশা বিশেষ উৎপাত নেই। কিন্তু এই ডিসেম্বরে কিন্তু মশার দাপট অব্যহত।
আবহাওয়াবিদেরা জানাচ্ছেন, ডিসেম্বর মাসেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯ ডিগ্রির কম হয়নি। বিশেষত কলকাতা ও তার আশপাশের জায়গায় তাপমাত্রার পারদ বিশেষ নামেনি। তাছাড়া ঘূর্ণাবর্তের জন্য কবে জাঁকিয়ে শীত পড়বে সে নিয়েও নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। ফলে, মশার (Kolkata Dengue) বংশবিস্তারে অনীহা দেখা যাচ্ছে না। তাই মশাবাহিত রোগের থেকেও মুক্তি ঘটছে না।
বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি মুক্তির জন্য এই সময় আদর্শ হওয়া উচিত। কারণ, এখন বৃষ্টির প্রকোপ কম। তাই আশেপাশে পরিষ্কার করা সহজ। যেসব জায়গায় নোংরা জমা থাকে, সে সব জায়গা শুকনো সময়ে সহজেই পরিষ্কার করা যায়। তাছাড়া নর্দমা পরিষ্কার করা জরুরি যাতে মশা (Kolkata Dengue) জন্মাতে না পারে। এলাকার যে সব জায়গায় জল জমে, সেগুলো ভরাট করার কাজ করা যায়। শীতে মশার দাপট কমাতে পারলে, পরিকাঠামোর উন্নতি করতে পারলে, তবেই ডেঙ্গির নতুন করে বাড়বাড়ন্ত রুখতে পারবে।
আরও পড়ুন: কলকাতায় আসছেন মোদি, হাওড়ায় করবেন জনসভা, রয়েছে গুচ্ছ কর্মসূচিও
যদিও বাস্তবে পরিস্থিতি একেবারেই আলাদা। ব্লিচিং পাউডার ছড়ানো বা এলাকা পরিষ্কারের (Kolkata Dengue) মতো সাধারণ কাজগুলোও ঠিকমতো হচ্ছে না বলে অধিকাংশ পুরএলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করছেন। অনেকেই মনে করেছেন, স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী যেখানে বলে দিয়েছেন শীতকালে চিন্তা নেই, সেখানে প্রশাসনের সাধারণ কর্মীরা কাজ করতে কীভাবে তৎপর হবে?
চিকিৎসকদের পরামর্শ, মানুষকেই সতর্ক থাকতে হবে। জ্বর হলেই রক্ত পরীক্ষা জরুরি। কারণ, শীতে অনেকেই ভাবেন ডেঙ্গি হবে না। তাই জ্বর থাকলেও রক্ত পরীক্ষায় অনীহা দেখা যায়। কিন্তু সময় নষ্ট করলেই বিপদ। জ্বর (Kolkata Dengue) হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো রক্ত পরীক্ষা জরুরি। ডেঙ্গি কিনা যাচাই করতে হবে। কারণ, শীতের আমেজ আসলেও ডেঙ্গি থেকে রাজ্যবাসীর রেহাই নেই।
Tags: