পার্কের নীচে ওয়াটার রিজার্ভারের কাজ চলছে। দর্শনার্থীদের ভিড়ের চাপে মাটির নীচে জলাধার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এই আশঙ্কায় পুজোয় নিষেধাজ্ঞা।
বন্ধের মুখে মহম্মদ আলি পার্কের দুর্গাপুজো
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা পুরসভার নির্দেশে বন্ধের মুখে মহম্মদ আলি পার্কের দুর্গাপুজো। পার্কের নীচে ওয়াটার রিজার্ভারের কাজ হচ্ছিল। তা এখনও শেষ হয়নি। তাই দর্শনার্থীদের ভিড়ের চাপে মাটির নীচে জলাধার ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এই আশঙ্কা থেকেই পার্কের পুজোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কলকাতা পুরসভা।
পুজোর প্যান্ডেল অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ২০ আগস্ট পুজো কমিটিকে চিঠি দিয়েছেন কলকাতা পুরসভার জল সরবরাহ বিভাগের ডিজি। নোটিসে লেখা মোস্ট আর্জেন্ট। সেখানে জানানো হয়েছে, পার্কের কিছুটা নীচে পুরনো যে জলাধার আছে, তার উপর পুজো প্যান্ডেল তৈরি করা মোটেই সমীচিন নয়। ১১ আগস্ট পুরসভার জল সরবরাহ দফতরের এক ইঞ্জিনিয়র ঘটনাস্থলে যান। বিষয়টি খতিয়ে দেখে সেখানে পুজো প্যান্ডেলে আপত্তির কথা জানিয়ে আসেন। এরপর ১৩ আগস্ট কাউন্সিলর, বরো চেয়ারম্যান সহ পুরসভার আধিকারিকরা পার্কে গিয়ে পুজো প্যান্ডেল পর্যবেক্ষণ করেন। তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতেই ডিজি পার্কের ওই স্থানে পুজো বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। পুরসভার বক্তব্য, দুর্গাপুজোর সময় দর্শনার্থীদের ভিড়ে ওই জায়গার ক্ষতি হলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সেক্ষেত্রে তার দায় নিতে হবে পুজো কমিটিকেই।
আরও পড়ুন: https:জন্মাষ্টমীর ভোরে খুঁটি পুজো ও কাঠামো পুজো বেলুড় মঠে, দুর্গা পুজোর শুভারম্ভ
পুরসভার চিঠির পরই মাথায় হাত উদ্যোক্তাদের। পার্কে পুজোর জন্য খুঁটি পুজো হয়েছে প্রায় দেড় মাস আগে। তার কিছুদিন পর থেকেই শুরু হয়েছে প্যান্ডেল তৈরির কাজ। খুঁটি পুজোর সময় হাজির ছিলেন বিধায়ক থেকে কাউন্সিলর। এতদিন পর কেন এই পুজো বন্ধের নোটিস পাঠানো হল, তার কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না মহম্মদ আলি পার্কের ইউথ অ্যাসোসিয়েশন। পুজো কমিটির দাবি, পুলিশের তরফেও প্যান্ডেলের কাজ খতিয়ে দেখা হয়েছিল। তখন প্যান্ডেল বন্ধের ব্যাপারে কিছুই জানানো হয়নি। কিন্তু এক মাস পর হঠাৎ কেন এই চিঠি, কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁরা। এখন পুজো সরিয়ে নিয়ে গিয়ে কোথায় করবেন, তা নিয়েও দ্বিধান্বিত তাঁরা। তাই মধ্য কলকাতার অন্যতম ঐতিহ্যশালী এই মহম্মদ আলি পার্কের পুজো এবছর হবে কিনা তা নিয়েই চরম অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে।