বালিগঞ্জ কাণ্ডে যুক্ত এক প্রভাবশালী এক মহিলাকে খুঁজছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
শুভেন্দু অধিকারী
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনজিৎ সিং গ্রেওয়ালের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক নিয়ে এবার বিস্ফোরক ট্যুইট করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ট্যুইটে বেশ কয়েকটি সম্পত্তি হস্তান্তরের দাবি করেছেন তিনি।
সম্প্রতি বালিগঞ্জ থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে (Suvendu Adhikari)। ঘটনায় কয়লা পাচার-যোগের প্রমাণ মিলেছে। এই মামলায় দুই ব্যবসায়ীর নাম উঠে এসেছে। তাঁদের মধ্যে একজন গজরাজ গ্রুপের কর্ণধার বিক্রম সাকারিয়া। ইতিমধ্যেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। আগামী বুধবার, নথি-সহ দিল্লির সদর দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছে মনজিৎ সিং গ্রেওয়ালকে। তিনি একটি গেস্ট হাউসের মালিক ও ধাবা ব্যবসায়ী। এই মনজিৎ সিং গ্রেওয়ালের সঙ্গেই তৃণমূল-যোগ নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন শুভেন্দু। মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মনজিৎ সিং গ্রেওয়ালের ছবি আগেই প্রকাশ করেছিলেন তিনি। এবার ট্যুইটারে আরও একটি ছবি প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলনেতা। তাতে বেশ কিছু নাম, দলিল ও জমি হস্তান্তরের দাবি করে লেখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ! ডিভিশন বেঞ্চে চাকরি হারানো গ্রুপ ডি কর্মীরা
উল্লেখ্য, ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে, হরিশ মুখার্জি রোডের ২০৪ নম্বর প্লটে যে সম্পত্তি কেনা হয়েছে, তার প্রস্তাবিত মূল্য ১ কোটি ৮৯ লক্ষ ৩০ হাজার ১ টাকা। ডিড নম্বর ০৭০৭৭/২০১০। বিক্রেতার নাম মায়া সেন, ইন্দ্রজিৎ সেন এবং শুভ্রা মিত্র। ক্রেতা কাজরী ব্যানার্জি এবং মনজিৎ সিং। দ্বিতীয় সম্পত্তির ঠিকানা, ১৩৫-এ, হরিশ মুখার্জি রোড। প্রস্তাবিত মূল্য ১৯ লক্ষ ৬০ হাজার ৩ টাকা। ডিড নম্বর ০৫২২৪/২০১৬। বিক্রেতার নাম তন্ময় সরকার। ক্রেতা কাজরী ব্যানার্জি এবং দলজিৎ কউর। ১৭ টার্ফ রোডে, তৃতীয় সম্পত্তির প্রস্তাবিত মূল্য ১৫ লক্ষ ৫৯ হাজার ৮২৫ টাকা। ডিড নম্বর, ০৫৫৪৫/২০১৭। বিক্রেতা মহম্মদ রফি খোন্দকার অলিউল ইসলাম। ক্রেতা কাজরী ব্যানার্জি, মনজিৎ সিং এবং অমরজিৎ সিং।
বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) ট্যুইটে লেখেন, 'সিজারের স্ত্রীকে সন্দেহের ঊর্ধ্বে রাখতেই হবে, কিন্তু তার সঙ্গে কার্তিক-জায়াকেও রেহাই দিতে হবে। শুধুমাত্র তিনি সম্রাজ্ঞীর আত্মীয় বা তোলামূল কাউন্সিলর বলে? "কে জানি না'' থেকে শুরু করে ''হিন্দি সেলের নেতা'', তারপর ''শুধুই পরিচিত'' থেকে ''পুরনো বন্ধু'' আর এখন ''ব্যবসায়িক সঙ্গী'' থেকে ''অপরাধের সঙ্গী''?'
আরও একটি ট্যুইটে তিনি লেখেন, "কালীঘাটের কাকু, পিসি, ভাইপো, কাকিমা, বউমা, শ্যালিকা - সবাই একই ধাঁধার অংশ। পৃথকভাবে কেউ দোষী নন, অথচ সবাই একসূত্রে গাঁথা। কয়লা যতোই ধোঁয়া হোক, তা কালোই থাকবে। ঠিক তোমাদের ভবিষ্যতের মতো।"
‘Caesar’s wife must be Above Suspicion’ but Kartik's wife must be granted impunity !
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) February 12, 2023
Because she's Her Majesty's relative or Tolamul Councillor?
From "don't know who" to "Hindi Cell Leader" to "just acquaintance" to "old friends" to "business associate" to "partners in crime"? pic.twitter.com/UJ9NedK4bO
এদিকে বালিগঞ্জ কাণ্ডে যুক্ত এক প্রভাবশালী (Suvendu Adhikari) এক মহিলাকে খুঁজছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। টাকা উদ্ধারের সঙ্গে এক মহিলার জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে ইডি। জানা গিয়েছে, এই মহিলার সঙ্গে আমলাদের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। এই রহস্যময়ীর খোঁজ পেলেই তদন্ত অনেকটা এগিয়ে যাবে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তদন্তকারীদের দাবি, শরৎ বোস রোডের গেস্ট হাউস বিক্রির ‘ডিল’ করার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল ওই মহিলার। এমনকী অনেকের কালো টাকা সাদা করতে সাহায্য করেছেন তিনি। এখন সেই মহিলাকেই হন্যে হয়ে খুঁজছে ইডি।
Tags: