ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল।
বিনীত গোয়েল
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় এই মুহূর্তে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বিপজ্জনক ‘ডেঙ্গি-৩’। ডেঙ্গি ২-র পাশাপাশি আশঙ্কা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি ৩-এর ভ্যারিয়েন্টও। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের ল্যাব থেকে ডেঙ্গি আক্রান্তদের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় নাইসেডে। নাইসেডের রিপোর্টে উঠে এল চরম উদ্বেগজনক এই তথ্য। এখনও পর্যন্ত ৫০টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩৫টিতেই মিলেছে ডেঙ্গি থ্রি-এর ভাইরাস। নাইসেড আধিকারিক শান্তা দত্ত বলেন, "ডেঙ্গি ৩ বেশি, ৩৫টি ডেঙ্গি থ্রি, ১০টি ডেঙ্গি ২, এক দুটো ডেঙ্গি ওয়ান। ২০১৯-এ ডেঙ্গি ২ বেশি হয়েছিল। এবার ডেঙ্গি থ্রি সব থেকে বেশি।"
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর আগে যদি কেউ ডেঙ্গি টু দাপট দেখিয়েছিল। ডেঙ্গি টু তে কেউ আক্রান্ত হলে, শরীরে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, তা এই ডেঙ্গি থ্রিয়ের মোকাবিলা করতে পারবে না। মাইক্রোবায়োলজিস্ট দেবকিশোর গুপ্তর কথায়, "এটা ৭০ শতাংশ স্যাম্পলে ডেঙ্গি থ্রি পাওয়া গেছে, এটা অ্যালার্মিং, প্লেটলেট কমে না, কিন্তু রোগীর অবস্থা খারাপ হয়ে যায়, এটাই ডেঙ্গি থ্রিয়ের চরিত্র।"
এতদিন শ্রীলঙ্কা, লাতিন আমেরিকা এবং আফ্রিকার কিছু দেশে ডেঙ্গি থ্রি-র ভ্যারিয়েন্ট প্রভাব দেখা যেত বেশি। এই বছর সিঙ্গাপুরেও ডেঙ্গি থ্রি-এর প্রকোপ দেখা গিয়েছে। সেই বিপজ্জনক ডেঙ্গি থ্রি-এ আক্রান্তের সংখ্যা এখন বাড়ছে বাংলাতেও।
ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল (Police ommissioner Vinit Goyal Hospitalised)। বুধবার ক্যামাক স্ট্রিটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন নগরপাল। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। শহরে ফের ভয় ধরাতে শুরু করেছে ডেঙ্গি (Dengue in Kolkata)। কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে সাবধান করা হয়েছে শহরবাসীকে। শহরের পরিচ্ছন্নতা বজায়ে অতিরিক্ত নজর দিয়েছে প্রশাসন।
আরও পড়ুন: পুজোর আগে দুশ্চিন্তার মেঘ! ফের ভয় ধরাচ্ছে ডেঙ্গি, কলকাতাতেই আক্রান্ত ৪৫১ জন
পুলিশ সূত্রে খবর, জ্বরে ভুগছিলেন পুলিশ কমিশনার। পরীক্ষা করালে, রিপোর্টে ডেঙ্গি ধরা পড়ে। তার পরই বুধবার হাসপাতালে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কলকাতায় ডেঙ্গি সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে শহরবাসীর জন্য সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। ডেঙ্গি আক্রান্তদের প্লেটলেট না কমলেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। রোগীর শরীরে আদ্রতার মাত্রাতেও নজর রাখতে বলেছে স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে বলা হয়েছে, "বমি, মাথা ঘোরার উপসর্গ দেখলেই পরীক্ষা করতে হবে। প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।"
দক্ষিণ দমদম, কামারহাটি, শ্রীরামপুর, বিধাননগর, বালি, হাওড়া এলাকায় বাড়তি নজরদারি চলছে। নতুন করে ৫৩৭ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৮৫ জন।
আরও পড়ুন: আপনি কি দ্বিতীয়বার ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হতে পারেন? কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনার ডেঙ্গি হয়েছে?