img

Follow us on

Friday, Nov 22, 2024

Kolkata Police: মদের দোকানের লাইসেন্সের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার কলকাতা পুলিশের আধিকারিক

অভিযোগ, বরাহনগরের বাসিন্দা এক ব্যক্তির কাছ থেকে ওই পুলিশ অফিসার দু-দফায় ৩৬ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন

img

কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারের ফাইল ছবি

  2023-04-10 19:51:53

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ-দুর্নীতি কাণ্ড নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। সম্প্রতি এক শিক্ষক ওই মামলায় গ্রেফতার হওয়ায় এবং তাঁর বিরুদ্ধে হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ায় ওই কেলেঙ্কারি ফের অন্যদিকে মোড় নিয়েছে। কিন্তু এবার দেখা গেল, সরষের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে ভূত। এবার একই ধরনের দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হল কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) এক পদস্থ কর্তাকে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, দুই ব্যক্তিকে মদের দোকানের লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার নাম করে বড় অঙ্কের টাকা তিনি হাতিয়ে নিয়েছেন। প্রতারিত এক ব্যক্তি বরাহনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। পরে ওই অভিযোগের তদন্তভার হাতে নেয় বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট। গ্রেফতার করা হয় সোমনাথ ভট্টাচার্য নামে ওই আধিকারিককে, যিনি কলকাতা পুলিশের অষ্টম ব্যাটালিয়নের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদে কর্মরত ছিলেন।

কী অভিযোগ ওই অফিসারের বিরুদ্ধে ?

অভিযোগ অনুযায়ী, বরাহনগরের বাসিন্দা এক ব্যক্তির কাছ থেকে ওই পুলিশ অফিসার (Kolkata Police) দু-দফায় ৩৬ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। পানশালার লাইসেন্স করিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি বোনের চাকরি করে দেবেন, এমন আশ্বাসও তিনি দিয়েছিলেন। কিন্তু বহু ক্ষেত্রে যা হয়, সেটাই ঘটেছে। দীর্ঘদিন অপেক্ষা করার পরও পানশালার লাইসেন্স মেলেনি, বোনের চাকরিও হয়নি। উত্তরপাড়ার বাসিন্দা এক ব্যক্তিও একই অভিযোগ জানান। তাঁর দাবি, তাঁর কাছ থেকে নেওয়া হয়েছিল ৩০ লক্ষ টাকা। এই দুই অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ কমিশনারেট পুলিশকর্তাকে গ্রেফতার করে। আদালতে এই অফিসারের ৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ হয়েছে।

আরও কার কার কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন, শুরু তদন্ত

পুলিশ এখন ওই অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে চাইছে, কার কার কাছ থেকে তিনি কত টাকা নিয়েছিলেন। এই ধরনের দুর্নীতির জাল আরও কতদূর বিস্তৃত। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই অফিসারকে গ্রেফতার করার আগে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, সরকারের বিভিন্ন গ্রুপ ডি এবং অস্থায়ী পদে চাকরি করে দেওয়ার নাম করে বিভিন্নজনের কাছ থেকে টাকা তুলতেন। পাশাপাশি মদের দোকানের লাইসেন্স পেতে অনেকেই তাঁকে লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) এত বড় পদে থেকে কিভাবে তিনি এই ধরনের কাজ করলেন, তা দেখে অনেকেই অবাক।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

Bengal news

bangla news

kolkata police

Employment Scam

cheating

Liquor License


আরও খবর


ছবিতে খবর