কামারপুকুরে খোল-করতাল বাজিয়ে ঊষা-কীর্তনে রামকৃষ্ণের আবির্ভাব তিথি উদযাপন...
ঠাকুর রামকৃষ্ণ। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাসমারোহে আজ বেলুড় মঠে (Belur Math) পালিত হচ্ছে শ্রীরামকৃষ্ণদেবের ১৮৯ তম জন্মতিথি উৎসব। আজ ভোরে মূল মন্দিরে মঙ্গলারতির মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। তারপর সন্ন্যাসী ও ভক্তরা খোল-করতাল বাজিয়ে মঠ চত্বরে ঊষা-কীর্তন করেন। আজ দিনভর বেলুড় মঠে রামকৃষ্ণ বন্দনা, কথামৃত পাঠ, ভক্তিগীতি, ধর্মসভা চলবে। দর্শনার্থীদের জন্য ভোগের ব্যবস্থাও থাকছে। একই ভাবে শ্রীরামকৃষ্ণের জন্ম দিনে ঠাকুরের জন্মস্থান কামারপুকুরে ব্যাপক ভক্তের ঢল দেখা গেল। ঠাকুরের এই আবির্ভাব তিথিকে ঘিরে তিন দিন ব্যাপি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
আজ ২৮ ফাল্গুন, মঙ্গলবার ঠাকুর রামকৃষ্ণের পরমহংসের আবির্ভাব তিথি। আজ ভোর ৪ টে থেকেই মঙ্গলারতি, বেদপাঠের মধ্যে দিয়ে পুজোর সূচনা হয়। এরপর শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ কথামৃত পাঠ শুরু হয়। সেই সঙ্গে বিশেষ চণ্ডী পুজো করা হয়। সকাল সাড়ে ৭ টার সময় কামারপুকুর এলাকায় এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। এদিন হাজার হাজার ভক্তরা ঠাকুরের মন্দিরে উপস্থিত হন। নিজের নিজের মনোবাঞ্ছার কথা জানিয়ে ঠাকুরের স্মরণে আসেন প্রচুর ভক্ত। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থ্যা করা হয়। একই ভাবে বেলুর মঠেও বিরাট আয়োজন করা হয়। রামকৃষ্ণ সম্পর্কিত বিভিন্ন পুজোপাঠ ভজন কীর্তন করা হয়। রামকৃষ্ণ মঠের পক্ষ থকে আগত ভক্তদের জন্য করা হয় প্রসাদের ব্যবস্থা।
কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মঠের অধ্যক্ষ লোকোত্তরানন্দ বলেন, “আমরা কামার পুকুরের মঠে শ্রী রামকৃষ্ণের (Sri Rama Krishna) ১৮৯ তম জন্মতিথি উৎযাপন করছি। গ্রামবাসী, পড়ুয়া, ভক্তবৃন্দ মিলে শোভাযাত্রায় অংশ গ্রহণ করেছে। ধর্মীয় আলোচনা সভা থেকে যাত্রাভিনয়ের আয়োজন করা হয়েছে। তিনদিনের এই মহোৎসবে আশে পাশের স্কুলগুলিকে আমরা আমন্ত্রণ জানিয়েছি। স্থানীয় দুস্থদের বস্ত্র বিতরণ করা হবে।” আবার এক ভক্ত শিখা মিত্র বলেছেন, “কামারপুকুরে এলে ঠাকুরের কাছে মনের কথা বলতে পারি। এখানে আসলে মনের পরিবর্তন হয়। মানসিক শান্তি পাই। ”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।