ভোটের নির্ঘণ্টকে উপেক্ষা করেই মমতার ছবি লাগিয়ে চলছে সরকারি প্রকল্পের ফর্ম ফিলাপ!
প্রতীকী চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ইতিমধ্যে প্রকাশ করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এবার এই কমিশনের বিজ্ঞাপনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলছে সরকারি ফর্ম ফিলাপ। গত শনিবার থেকেই মডেল কোড অফ কনডাক্টকে উপেক্ষা করে রাজ্যের তৃণমূল সরকার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, জব কার্ডের জন্য প্রকাশ্যে করে চলেছে আবেদন পত্র গ্রহণ। ঘটনায় ব্যাপক ভাবে সরব হয়েছে বিজেপি। ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানে (Purba Bardhaman)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) গলসি ১ নম্বর উচ্চগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কোলকোল শিক্ষা নিকেতনে গতকাল রবিবার একাধিক সরকারি প্রকল্পের ফর্ম ফিলাপের (Laxmi Bhandar) কাজ সম্পন্ন হয়েছে। একেবারে সরকারি স্কুলে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় পতাকা লাগিয়ে এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি লাগিয়ে জয় বাংলা ফর্ম ফিলাপ করেন তৃণমূলের নেতারা। এই ফর্ম পূরণের জন্য ১০ টাকা করে নেওয়া হয়।
স্থানীয় (Purba Bardhaman) সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, মাত্র দুই দিন আগেই এলাকায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Laxmi Bhandar) এবং কর্মশ্রী অর্থাৎ পঞ্চাশ দিনের জব কার্ডের জন্য মাইকিং করা হয়। জানা গিয়েছে, এই প্রচারের পিছনে রয়েছে গলসি ১ নম্বর ব্লকের উচ্চগ্রাম অঞ্চল সভাপতি নিখিল রায়। তিনি দায়িত্ব নিয়ে তৃণমূল দলের হয়ে এই প্রচার করেন। পঞ্চায়েত সদস্যা দুলালী বাউরি বলেন, "এদিনের ফর্ম ফিলাপের কাজ সরকারি দফতরের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে হয়েছে। আমাকে ওই ফর্ম অঞ্চল সভাপতি দিয়েছেন। সরকারি প্রকল্পের ফর্ম ফিলাপ করতে শুধু মাত্র ১০ টাকা করে নেওয়া হয়।” অপরদিকে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি নিখিল রায় জানান, “ফর্ম ফিলাপের সম্পর্কে কিছু জানিনা। কিছু মানুষের টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকছে না। রবিবারে এমন কাজের কোনও অনুমোদন দেওয়া হয়নি। এই বিষয়ে তদন্ত করতে বলব।”
ঘটনায় কথা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে স্থানীয় (Purba Bardhaman) বিজেপি নেতা বলেন, “নির্বাচন ঘোষণার পর মানুষকে ভুল বুঝিয়ে তোলাবাজি করা হচ্ছে। এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে আমরা অভিযোগ করব।” জেলা শাসক বিধান রায় বলেন, “খোঁজ নিয়ে দেখবো। প্রয়োজনে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবো।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।