Jayanagar: ভোটের আগে চলল গুলি-বোমা, অশান্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনা…
জয়নগরে বোমার আঘাতে চলছে আহত ব্যক্তির চিকিৎসা। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের সপ্তমদফা লোকসভা নির্বাচন জমে উঠেছে কিন্তু এর মধ্যে একাধিক জায়গায় অশান্তির খবর উঠে এসেছে। ভোটের আগেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে জয়নগর (Lok Sabha Election 2024)। এলাকার গড়দেওয়ান গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্যকে লক্ষ্য করে গুলি করেছে দুষ্কৃতীরা। এরপর থেকেই চলছে একালায় পুলিশের টহল। গুলির ঘটনায় এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন সাধারণ ভোটার। আবার একেবারে যেন সিনেমার দৃশ্য! তখনও স্কুটিতে যুবক। এক যুবক গুলি বিদ্ধ না হলেও পিঠ এবং বুকের পাশ ছুঁয়ে বেরিয়ে গিয়েছে। আর্তনাদ চিৎকার শুনতে পেয়েছেন পথ চলতি মানুষ। ঘটনা ঘটেছে নদিয়াতে। ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।
জানা গিয়েছে, গড়দেওয়ান পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য তপন মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি মোড়ে বসে নির্বাচনী (Lok Sabha Election 2024) ভোটার স্লিপ গোছানোর কাজ করছিলেন। কিন্তু আচমকা দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে। অল্পের জন্য গুলি লাগেনি গায়ে। গুলির শব্দ শুনে দোকানে লুটিয়ে পড়েন তিনি। এরপর দোকানে আশ্রয় নিলে সেখানে ধাওয়া করে বোমা মারে দুষ্কৃতীরা। বোমার ঘায়ে গুরুতর যখম হন তিনি। বোমা-গুলির শব্দে এলাকার মানুষ ছুটে আসেন, এরপর তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় জয়নগর ২ নম্বর ব্লকের নিমপীঠ রামকৃষ্ণ গ্রামীণ হাসপাতাল কেন্দ্রে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ।
জানা গিয়েছে নদিয়ায় গুলিবিদ্ধ যুবকের নাম অজয় মাহাতো। বাড়ি কল্যাণী থানার চরজাজিরা এলাকায়। তিনি বলেন, “আমি স্কুটি করে যাচ্ছিলাম, আচমকা পিছন থেকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। গুলি বুকের পাশ ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। কে মারল কিছুই বুঝতে পারিনি। কেন মারল তাও আমরা বুঝতে পারছি না। ওরা কতজন ছিল তাও বুঝতে পারছি না। সবটাই পিছন থেকে করেছে।” কিন্তু রাজ্যে ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আবাহে কারা এই ভাবে গুলি করল তা নিয়ে স্পষ্ট করে বলতে পারলাম না। এরপর তাঁকে স্থানীয় কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুনঃ পড়াশোনা শেষ হলেই ছাড়তে হবে হস্টেল! কড়া নির্দেশ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের
রাজ্যে আগামী ১ জুন সপ্তম দফা অর্থাৎ শেষ দফার ভোট (Lok Sabha Election 2024)। রাজনৈতিক লড়াই নিয়ে ইতিমধ্যে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক সন্ত্রাসের সৃষ্টি হয়েছিল এই জেলায়। একাধিক বার শাসক দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব, কোন্দল, ঝগড়া, হত্যা ইত্যাদি ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছিল। এখন শেষ দফা লোকসভা নির্বাচনে কমিশন কী ভূমিকা পালন করে তাই দেখার।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।