Election Commission: ভুয়ো ভোটার বাদ পড়তেই রাজ্যে কমছে ভোটের হার, নিজেদের ‘সাফল্য’ ব্যাখ্যা কমিশনের
রাজ্যে কমেছে ভোটের হার।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ জুড়ে চলছে লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024)। ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে প্রথম তিন দফার ভোট। বাকি রয়েছে আরও চার দফা। বাংলায় ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় ভোট কম পড়ছে এবার। এর কারণ হিসেবে নিজেদের ভূমিকার কথাই বলল নির্বাচন কমিশন। সারা বাংলায় ভুয়ো ভোটারের আধিক্য ছিল। ভুয়ো ভোটার বাদ পড়তেই ছাপ্পা ভোট কমেছে। এর প্রভাব পড়েছে ভোট দানে, এমনই মত কমিশনের।
নির্বাচন কমিশনের (Election Commission of India) মতে, রাজ্যে ভোটের হার কমে যাওয়ার নেপথ্যে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। কমিশন জানিয়েছে বাংলায় প্রথম দুই দফার চেয়ে তৃতীয় দফায় ভোটের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বৃদ্ধি পেলেও সেটা গত লোকসভা (Lok Sabha Election 2024) এবং বিধানসভা নির্বাচনের হারের চেয়ে বেশ অনেকটাই কম। নির্বাচন কমিশনের (ECI) মতে, এর পিছনে ছাপ্পা ভোট কমে যাওয়া সহ বেশ কিছু কারণ রয়েছে। এছাড়াও কমিশনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আগের দুটি দফায় ভোট কমার অন্যতম কারণ ছিলে তীব্র গরম। তবে এবার গরমের হার কিছুটা হলে কম ছিল। তাই ভোটারারও ভোট দিতে বেরিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বৈশাখের দুপুরে শিলাবৃষ্টি কলকাতায়, ঝোড়ো হাওয়া, জেলায় জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস
কমিশনের (Election Commission of India) ধারণা, পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) ভোটের (Lok Sabha Election 2024) হার কমে যাওয়ার কারণ মূলত ৩টি। প্রথমত, ভোটার তালিকা থেকে ভুয়ো ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া। বিরোধীদের অভিযোগের, প্রচুর ভুয়ো ভোটারের নাম সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয়ত, ছাপ্পা ভোট না পড়া। নির্বাচন কমিশনের মতে, রাজ্যে এবার অবাধ এবং সুষ্ঠ নির্বাচন হচ্ছে। ছাপ্পা ভোট আটকানো গিয়েছে। সেই কারণেই প্রত্যেকবার যে বাড়তি ভোট ছাপ্পা হিসেবে পড়ে, সেটা এবার রোখা গিয়েছে। এবং তৃতীয়ত, সকল পরিযায়ী শ্রমিকের ভোট দিতে না আসা।কমিশনের ধারণা, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট দিতে এসে বহু পরিযায়ী শ্রমিক হিংসার সাক্ষী ছিলেন। সেই কারণে এবার অনেকেই ভোট দিতে আসেনি। ভোটবাক্সে সেটার প্রভাব পড়েছে বলে অনুমান নির্বাচন কমিশনের। উল্লিখিত তিন কারণের প্রথম দুটিকে নিজেদের সাফল্য হিসাবেই দেখছে কমিশন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।