শুক্রবার নাবালিকা স্কুলছাত্রীকে স্কুলের বাথরুমের মধ্যে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ফইজুদ্দিন...
অভিযুক্তকে কোর্টে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে (নিজস্ব ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলের মধ্যে নাবালিকা ছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল ওই স্কুলেরই অস্থায়ী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার (South 24 pargana) ঢোলাহাট থানার হাই মাদ্রাসা স্কুলে। এই ঘটনায় আরও একবার প্রশ্নের মুখে পড় রাজ্যের নারী নিরাপত্তা। বিরোধীরা বারবার দাবি করে, মমতার আমলে বাংলা নারী নির্যাতনে দেশের মধ্যে শীর্ষস্থানে গিয়েছে। বিরোধীদের এই অভিযোগ যে মিথ্যা নয়, তা জেলায় জেলায় মহিলা নিগ্রহের একাধিক ঘটনা সামনে আসতেই বোঝা যাচ্ছে। ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মণিপুরের ঘটনায় সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু তাঁর নিজের রাজ্যের নারীদের নিরাপত্তা দিতে পেরেছেন কি? এটাই প্রশ্ন ওয়াকিবহাল মহলের।
নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, গত শুক্রবার ওই নাবালিকা স্কুলছাত্রীকে স্কুলের বাথরুমের মধ্যে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ওই হাই মাদ্রাসা স্কুলের (South 24 pargana) অস্থায়ী শিক্ষক ফইজুদ্দিন মোল্লা। শুধু তাই নয়, পরিবারের আরও অভিযোগ, এরপর ওই নাবালিকা স্কুল ছাত্রী চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে তাকে বাথরুমের মধ্যেই তালা দিয়ে আটকে রেখে পালিয়ে যায় ওই অস্থায়ী শিক্ষক। এরপর অন্যান্য ছাত্র ছাত্রীরা বিষয়টি তার পরিবারের লোকজনকে জানায়। পরিবারের লোকজন ওই নাবালিকা স্কুল ছাত্রীকে বাথরুমের মধ্য থেকে উদ্ধার করে। এরপরেই ওই নাবালিকা স্কুল ছাত্রী পরিবারের কাছে সমস্ত ঘটনা জানায়।
পরবর্তী সময় ওই ছাত্রীর পরিবার রবিবার ঢোলাহাট থানায় অস্থায়ী শিক্ষক ফইজুদ্দিন মোল্লার নামে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। তার ভিত্তিতেই তদন্ত নামে ঢোলাহাট থানার (South 24 pargana) পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত শিক্ষককে। সোমবার কাকদ্বীপ আদালতে তোলা হয় ফইজুদ্দিনকে। ওই অস্থায়ী স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ও পকসো আইনে মামলা রজু করেছে ঢোলাহাট থানার পুলিশ। অন্যদিকে ওই ছাত্রীর পরিবার ওই অস্থায়ী শিক্ষকের কঠিনতম শাস্তির দাবি তুলেছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।