Rath Yatra 2024: হুগলির মাহেশে জগন্নাথ স্নানযাত্রা পড়ল ৬২৮ বছরে....
মাহেশের স্নানযাত্রা। ছবি— সংগৃহীত।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলির মাহেশে জগন্নাথ স্নানযাত্রা (Mahesh Snan Yatra) পড়ল ৬২৮ বছরে। বাংলার পুরাতন রথযাত্রা মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল এই রথযাত্রা। আজ জগন্নাথের স্নানযাত্রায় প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়েছে। মূলত প্রতিবছরই জগন্নাথদেবের এই আবির্ভাব দিবস তিথিতে প্রভুকে স্নান করিয়ে অভিষেক করানো হয়। বিভিন্ন নিয়ম এবং পুজাচারের মধ্য দিয়ে এই মহা উৎসব পালন করা হয়। জগন্নাথদেবকে স্নান করানোর পর তিনি আবার অন্তরালে চলে যান। পরবর্তীকালে রথযাত্রার (Rath Yatra 2024) দিন তাঁকে আবার রাজপথে দেখতে পাওয়া যায়। আবার মায়াপুর ইসকনের শাখা রাজাপুর জগন্নাথ মন্দিরে ধুমধাম করে পালিত হচ্ছে স্নানযাত্রা (Snan Yatra 2024)। ভোরবেলা থেকেই শুরু হয়েছে এই স্নানযাত্রার অনুষ্ঠান। দেশ-বিদেশের হাজার হাজার ভক্তের সমন্বয়ে এদিন জগন্নাথদেবের অভিষেক ঘটানো হয়।
দেড়মণ দুধ ঢেলে স্নানযাত্রা জগন্নাথের (Mahesh Snan Yatra)
আষাঢ় মাস মানেই দুর্গাপুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে। গ্রীষ্মের প্রবল গরমের পর প্রভু জগন্নাথ, বলভদ্র এবং সুভদ্রাকে স্নান (Snan Yatra 2024) করানো হয়। হুগলির মাহেশে ২২ ঘড়া জল এবং দেড়মণ দুধ ঢেলে স্নান করানো হয়েছে প্রভু জগন্নাথকে। এই মাহেশের স্নানযাত্রা ছয়শ বছরের বেশি প্রাচীন, ফলে দূরদূরান্ত থেকে আসেন প্রচুর ভক্ত। সকালে গর্ভগৃহ থেকে বের করে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে মন্দিরের বারান্দায় রাখা হয়। তারপর বিগ্রহকে নিয়ে যাওয়া হয় মন্দির সংলগ্ন মাঠের স্নানমঞ্চে। এরপর করানো হয় স্নান। তবে পুরীতে জগন্নাথের কলেবর পরিবর্তিত হলেও মাহেশে একই বিগ্রহে পুজো করে আসা হচ্ছে। স্নানের পর ঠাকুরের খুব জ্বর আসে, প্রভু জগন্নাথ লেপ মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকেবন। এরপর রথযাত্রার ঠিক ২দিন আগে মন্দির আবার খোলা হয়। জ্বর সারলে মাসির বাড়িতে যান জগন্নাথ দেব। মাহেশের রথের স্নানযাত্রায় ব্যাপক ভক্তের সমাগম হয়।
মাহেশের স্নানযাত্রার (Mahesh Snan Yatra) পাশাপাশি মায়াপুর ইসকন মন্দিরের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস বলেছেন, “ভগবান জগন্নাথদেবের আবির্ভাব তিথি উপলক্ষে মায়াপুর ইসকনের শাখা রাজাপুরের জগন্নাথ মন্দিরে তাঁকে স্নান (Snan Yatra 2024) করিয়ে অভিষেক করানো হয়। সকল ভক্তরাই এদিন সুযোগ পান জগন্নাথদেবকে স্নান করানোর। শুধুমাত্র দেশের ভক্তরাই নয় বিদেশেরও হাজার হাজার ভক্তরা এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে রাজাপুরে এসে উপস্থিত হন। ভোর বেলা থেকেই এই অনুষ্ঠান শুরু হয়। তবে জগন্নাথদেবের স্নান করানোর পর তিনি জগদেশ রূপে আবার সকলের অন্তরালে চলে যান। পরবর্তীকালে রথযাত্রার দিন (Rath Yatra 2024) তাঁকে আবার রাজপথে দেখা মেলে। সেদিন তিনি রাজাপুর থেকে তাঁর মামার বাড়ি ইসকন মন্দিরের প্রাণকেন্দ্রে চলে আসেন। আজকের এই দিনটি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালন করা হয়ে থাকে। একই সঙ্গে হাজার হাজার ভক্তদের জন্য থাকে প্রসাদের ব্যবস্থা।”
আরও পড়ুনঃ আজ প্রভু জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা উৎসব, এর মাহাত্ম্য জানেন?
তীর্থ নগরী নদিয়ার নবদ্বীপ শহরের প্রাণকেন্দ্র পোড়ামাতলায় অবস্থিত মা পোড়ামা মন্দির। এই মন্দিরকে ঘিরে সারা বছর দেশ-বিদেশ থেকে বহু তীর্থযাত্রী এবং নবদ্বীপ পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষের আনাগোনা চলে। জানা যায়, প্রায় পাঁচশো বছরের পুরানো এই মা পোড়ামা মন্দির। এই মন্দিরে প্রতি বছর জগন্নাথের স্নানযাত্রার (Snan Yatra 2024) দিনে পরম্পরা মেনে মা পোড়ামার বার্ষিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার ভোরবেলায় নবদ্বীপের সুরধনীগঙ্গা থেকে ১০৮ ঘড়া গঙ্গাজল নিয়ে আসা হয় এবং মাকে স্নান করিয়ে অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে মায়ের ভোগারতির পর বিকেলে ভক্তদের মধ্যে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয়। মায়ের মন্দিরে পুজো দেওয়ার জন্য এদিন সকাল থেকে দেখা গেল পোড়ামা মন্দির প্রাঙ্গনে অসংক্ষ্য ভক্তদের ভিড়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।