Purulia: পুরুলিয়াতে হু হু করে বাড়ছে ম্যালেরিয়া, আক্রান্তের সংখ্যা কত জানেন?
ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষা আসতেই রাজ্যজুড়ে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার দাপট শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই শিলিগুড়িতে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরে ডেঙ্গিতে ১৪০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এরই পাশাপাশি এবার পুরুলিয়া জেলায় ম্যালেরিয়া (Malaria) আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। ফলে, জেলাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারাও উদ্বিগ্ন।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরুলিয়া জেলায় (Purulia) আক্রান্তের সংখ্যা ১৬৬ জন। এর মধ্যে বলরামপুর ব্লকে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। তাতে আরও উদ্বেগ বেড়েছে। ম্যালেরিয়া (Malaria) আক্রান্তের খবর পেয়ে ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি পরিদর্শনে যান জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অশোক বিশ্বাস। শনিবার পুরুলিয়ার বলরামপুর ব্লকের বাঁশগড় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন তিনি। সেখানে শিশু থেকে বৃদ্ধ প্রায় ৫০ জন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বললেন। একইসঙ্গে আশাকর্মী এবং স্বাস্থ্য দফতরের টিম গ্রামে গ্রামে গিয়ে অস্থায়ী ক্যাম্প করে সাধারণ মানুষের রক্ত পরীক্ষা শুরু করেছেন। ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের লক্ষণ ধরা পড়লেই প্রাথমিক চিকিৎসা করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করার ব্যবস্থা করছে স্বাস্থ্য দফতরের ওই দল। বলরামপুর শহরের বেশ কয়েকজন ছাত্রী মাথা ব্যাথা জ্বর নিয়ে ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসেন ম্যালেরিয়ার পরীক্ষা করাতে। রক্ত পরীক্ষা করার পর ম্যালেরিয়ার রিপোর্ট ধরা পড়ছে।
আরও পড়ুন: ১৬ হাজার ফিট উচ্চতায় মোবাইল পরিষেবা, সেনাকে বিজয় দিবসের উপহার কেন্দ্রের
বলরামপুর ব্লকে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও প্রশাসনের সেভাবে নজর নেই। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ম্যালেরিয়া প্রতিরোধের জন্য প্রথম থেকে স্বাস্থ্য দফতরের যে ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া দরকার তা নেওয়া হয়নি। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তেই এখন স্বাস্থ্য দফতরের হুঁশ ফিরেছে।
জেলা (Purulia) মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অশোক বিশ্বাস বলেন, গত বছরের তুলনায় ম্যালেরিয়ার আক্রান্তের সংখ্যা জেলায় বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে বলরামপুর, বাগমুন্ডি, ঝালদা সহ একাধিক ব্লকে। স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। বেড সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি গ্রামে গ্রামে অস্থায়ী শিবির করা হচ্ছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।