Malbazar: অভিযোগ উঠেছে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী স্থায়ী চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁকে হোমগার্ডের চাকরি অর্থাৎ অস্থায়ী চাকরি দিয়েছেন।
Malbazar: চাকরি প্রত্যাখান
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশমীর রাতে এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছিল মাল নদীতে (Malbazar)। সেদিন মাল নদীতে হড়পা বানে মৃত্যু হয়েছিল সুস্মিতা পোদ্দার নামে এক তরুণীর। আর সেই তরুণীর ভাইকে চাকরি দিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু এবারে সেই চাকরিই ফিরিয়ে দিলেন সুস্মিতার ভাই সুদীপ। তবে কেন? অভিযোগ উঠেছে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী স্থায়ী চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁকে হোমগার্ডের চাকরি অর্থাৎ অস্থায়ী চাকরি দিয়েছেন। আর তার ফলেই সুদীপ সেই চাকরি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
দশমীর রাতে আচমকাই হড়পা বান আসে মাল নদীতে (Malbazar)। প্রবল স্রোতে ভেসে যান বহু মানুষ। দুর্গা প্রতিমার বিসর্জন দেখতে গিয়ে প্রাণ হারান শিশু-সহ ৮ জন। রাজ্য সরকারের তরফে মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা ও আহতদের ৫০ হাজার টাকার আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। শুধু তাই নয়, এই ঘটনার সপ্তাহ খানেক পর ৪ দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে প্রত্যেক পরিবারের এক জনকে স্থায়ী চাকরির প্রস্তাবও দেন তিনি। পরের দিন, ১৮ অক্টোবর মাল আদর্শ বিদ্যাভবনে প্রশাসনিক বৈঠকের সময় তাঁদের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন মমতা। ইতিমধ্যে বেশ কয়েক জন চাকরিতে যোগও দিয়েছেন। কিন্তু এদের মধ্যে সুদীপ পোদ্দার নামে ওই যুবক চাকরি প্রত্যাখান করলেন।
জলপাইগুড়ির জেলাশাসকের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সুদীপ যোগ্যতা অনুযায়ী স্থায়ী চাকরির আর্জি জানিয়েছিলেন (Malbazar)। কিন্তু তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘আমাদের স্থায়ী সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এনরোলমেন্ট সার্টিফিকেট হাতে পাওয়ার পর দেখি চাকরিটা স্থায়ী নয়। তাই এই চাকরিতে যোগ দেব না বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’ সুদীপের এক দাদা সঞ্জয় পোদ্দার জানান, যেদিন তাঁর ভাইয়ের হাতে এনরোলমেন্ট সার্টিফিকেট আসে, তাঁরা বুঝতেই পারেননি, এটি কী চাকরি। পরে পুলিশ সুপারের কাছে গিয়ে জানতে পারেন, এটা অস্থায়ী হোমগার্ডের চাকরি। তাই এই চাকরি করবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুদীপ।
মুখ্যমন্ত্রী স্থায়ী চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অস্থায়ী চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠলে বিজেপির নেতারা রাজ্য সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন। মালবাজার (Malbazar) টাউনের বিজেপি মণ্ডল সভাপতি নবীন সাহা বলেন, ‘‘সরকারের দেওয়া এই চাকরিতে নো ওয়ার্ক নো পে। অস্থায়ী চাকরি দিয়ে আদতে মানসিক চাপ দেওয়া হল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে একটা আইওয়াশ।’’