চোর সন্দেহে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের অভিযোগ, গ্রেফতার আক্রান্তেরাই
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদায় দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনায় এবার রিপোর্ট তলব করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। ২ সপ্তাহের মধ্যে জেলা পুলিশ সুপারকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলার এসপি-র পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্যসচিব ও ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশকেও বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
গত ১৮ জুলাই মালদার বামনগোলার পাকুয়াহাটে চোর সন্দেহে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে জুতোপেটা করার অভিযোগ ওঠে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টে নালাগোলা ফাঁড়ি ভাঙচুরকাণ্ডে নির্যাতিতাদেরই গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও ঘটনার দিন তারা ফাঁড়ির এলাকায় যাননি, ভাঙচুরেও যুক্ত ছিলেন না বলে দাবি করেন তাঁরা। ৭দিন পর গতকাল জামিনে জেল থেকে ছাড়া পান ২ নির্যাতিতা। ওই ঘটনায় গত ২৩ জুলাই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেন উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি তথা মালদা জেলা আদালতের আইনজীবী উজ্জ্বল দত্ত। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই এবার জেলা পুলিশ সুপারের কাছে রিপোর্ট তলব করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
আরও পড়ুন: পিংলায় ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন! দোষীদের ফাঁসির সাজা ঘোষণা করল আদালত
আজ, বুধবার সকালে জামিনে মুক্ত দুই নির্যাতিতাকে মুক্তি দেয় জেল কর্তৃপক্ষ। জেল থেকে বেরিয়েই দুই নির্যাতিতার দাবি, ১৮ জুলাই ভরা হাটে চুরির মিথ্যা অপবাদে তাঁদের মারধর করা হয়। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে দুই নির্যাতিতার পরিবার। তাঁদের দাবি, ঘটনার দিন হাটে লেবু বিক্রি করতে গিয়েছিলেন তাঁরা। অভিযোগ, সেই সময় চোর সন্দেহে তাঁদের মারধর ও জুতোপেটা করা হয়। ভিডিয়োতে অনেকে মিলে ওই দুই মহিলাকে মারধর করতে দেখা যায়। সেই মারধরের সময়ই ওই দুই মহিলার শরীর থেকে পোশাক খুলে যায়। কিন্তু তাতেও বন্ধ হয়নি শারীরিক হেনস্থা। পরে ওই দুই মহিলাকে মারধরে অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের নাম মনোরঞ্জন মন্ডল, বিজয় মন্ডল, মিনতি টুডু, বাসন্তী মার্ডি এবং রেবতী বর্মন। আদালতে পেশ করা হলে তাদের পুলিশ হেফাজতে পাঠান বিচারক।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।