Ration Scam: ভুয়ো রেশন কার্ড দিয়ে তোলা হত কোটি কোটি টাকার চাল-ডাল, রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে আর কী অভিযোগ?
প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী বালু ঘনিষ্ঠ রেশন ডিলার আশরাফুল ইসলাম (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতিতে (Ration Scam) আপাতত জেলে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর সময়কালে ঘটে যাওয়া আরেক রেশন দুর্নীতির প্রমাণ মিলল মালদায় (Malda)। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের সঙ্গেও লেনদেন হয়েছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগে রেশন ডিলারকে সাসপেন্ড করল খাদ্য সরবরাহ দফতর। একই সঙ্গে প্রায় আট কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেই ডিলার আবার তৃণমূলের গ্রামীণ নেতা। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্যের শাসকদল।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মালদার কালিয়াচক ৩ নম্বর ব্লকে রেশন ডিলার ছিলেন আশরাফুল ইসলাম। তাঁর বাড়ি কালিয়াচক ৩ নম্বর ব্লকের সাহাবানচক গ্রাম পঞ্চায়েতের ইন্দো-বাংলা সীমান্ত লাগোয়া বোরাবাদ্ধা গ্রামে। তিনি সাহাবানচক অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি। মাস দুয়েক আগে সাহাবানচক এলাকার বাসিন্দা দুখু শেখ তাঁদের রেশন ডিলার আশরাফুলের বিরুদ্ধে খাদ্য দফতর ও অপরাধ দমন বিভাগে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগে তিনি বলেন, “আশরাফুল আমাদের সরকারি নিয়ম মেনে রেশন সামগ্রী দিচ্ছেন না। তাঁর গুদামে প্রচুর পরিমাণে রেশন সামগ্রী আসলেও তা রাতারাতি উধাও হয়ে যেত। রেশন আনতে গিয়ে অধিকাংশ সময় গ্রাহকদের ঘুরে আসতে হয়। পরবর্তীতে আমরা জানতে পারি, আশরাফুল আমাদের জন্য বরাদ্দ সামগ্রী কালোবাজারে বিক্রি করে দিচ্ছেন। এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করেছি।’’ তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত নেমে রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে জেলা খাদ্য দফতর। খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এক হাজারের বেশি ভুয়ো বা জাল রেশন কার্ড ছাপিয়ে দীর্ঘ প্রায় আট বছর ধরে রেশন তোলা হচ্ছিল। তারপর সে সব জিনিস কালোবাজারে বিক্রি করা হত। ২০১৫ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত এই কারবার চলেছে বলে অভিযোগ। তদন্ত চালিয়ে এই দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে বলে জেলা খাদ্য সরবরাহ দফতর সূত্রে দাবি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বদলে গেল সময়, ২০২৫-এর একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা শুরু কখন?
মালদা (Malda) জেলা খাদ্য নিয়ামক শাশ্বত সুন্দর দাস বলেন, “সাহবানচকের একজনকে মোটা অঙ্কের জরিমানা করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ২০১৫ থেকে ২০২২ পর্যন্ত ভুয়ো কার্ডে পণ্য তোলার অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে। ৭ কোটি ৮৫ লক্ষ ৬১ হাজার টাকা জরিমানার পাশাপাশি ডিলারশিপও সাসপেন্ড করা হয়েছে।’’
তৃণমূল নেতা তথা অভিযুক্ত রেশন ডিলার আশরাফুল ইসলামকে এলাকায় (Malda) দেখা যাচ্ছে না। তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন বলে অভিযোগ। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায় নি। শুধু খাদ্য দফতর নয় এই ঘটনার এনআইএ তদন্তের দাবি তুলেছে বিজেপি। তাঁদের অভিযোগ, বাংলাদেশিদের নামেও জাল রেশন কার্ড করা হচ্ছে। রেশন সামগ্রী পাচার হচ্ছে বাংলাদেশে। বর্ডার এলাকা থেকে এইসব লেনদেন চলছে বলেও দাবি বিরোধীদের।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।