Police Fire: মালদায় লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে অবরোধে ধুন্ধুমার, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, চলল গুলি
গন্ডগোলের পরই এলাকায় পুলিশের টহলদারি (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। তার সঙ্গে দোসর হয়েছে লোডশেডিং। আর এই দুর্ভোগ একদিন বা দুদিন নয়, টানা এক মাস ধরেই পরিষেবা ব্যাহত। যার জেরে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছিলেন সাধারণ মানুষ। আর সেই আন্দোলনকে ছত্রভঙ্গ করতেই পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মালদার (Malda) মানিকচক এলাকায়।
এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের বিরুদ্ধে মানিকচকের (Malda) শেখপুরা, চণ্ডীপুরসহ ১০টি জায়গায় চলছিল পথ অবরোধ। টায়ার জ্বালিয়েও বিক্ষোভ দেখান অনেকে। অবরোধকারীরা বলেন, রাতে বিদ্যুৎ চলে যেত। দিনের বেলায় আসত। এক মাস ধরে এই সমস্যা চলছিল। তাই, বাধ্য হয়ে রাস্তা অবরোধে সকলে সামিল হয়েছিল। পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশকে ঘরবন্দি করে মারধর করে বিক্ষোভকারীরা। হামলার জেরে আক্রান্ত হয়েছেন আইসি-সহ বেশ কয়েক জন পুলিশ কর্মী। পুলিশের গাড়িু ভাঙচুর চালানো হয়। অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশের গুলিতে দু'জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁদের মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। পরে, ঘটনাস্থলে বিশাল বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। কী কারণে গুলি চালাতে হল পুলিশকে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছে নবান্ন।
আরও পড়ুন: পুলিশের নাকের ডগায় মাছের ভেড়িতে আত্মগোপনে সাদ্দাম, তিনদিন পর গ্রেফতার
এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, "মানুষের পুলিশ-প্রশাসনের (Police Fire) ওপর থেকে বিশ্বাস উঠে যাচ্ছে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আক্রান্ত হচ্ছে পুলিশ। এই ঘটনা আরও একবার তা প্রমাণ করল।" তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্তদের তরফে বিভাগীয় তদন্ত হবে। তৃণমূল মুখপাত্র তথা কলকাতার কাউন্সিলর অরূপ চক্রবর্তী বলেন, "এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। বিভাগীয় তদন্ত হবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে।" মানিকচকের তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র এই প্রসঙ্গে বলেন, "গত কয়েক দিন ধরে মানিকচক এলাকার বেশ কিছু এলাকায় রাতে বিদ্যুৎ না থাকায় সমস্যা হচ্ছিল। আমি বহু বার ডিভিশনাল অফিসারকে বলেছিলাম সমস্যা মেটাতে। তা সত্ত্বেও সমস্যা মেটেনি। নুরপুর, শেখপুরা, চণ্ডীপুরে বিদ্যুৎ না থাকার কারণে অবরোধ হয়েছিল। আমি অবরোধকারীদের অনুরোধ করায় তাঁরা অবরোধ তুলে নিয়েছিলেন। কিন্তু এনায়েৎপুরের মানুষজন অবরোধে অনড় ছিলেন। পুলিশের গুলি চালানোর (Police Fire) যে ঘটনা ঘটেছে তা কাম্য নয়। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।