দুশ্চিন্তা দুর্নীতি, বিনিয়োগ টানতে মরিয়া রাজ্য...
ফাইল ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayet Polls)। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। এমতাবস্থায় নিয়োগ দুর্নীতিতে কার্যত ল্যাজেগোবরে দশা রাজ্যের তৃণমূল (TMC) সরকারের। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে কর্মসংস্থানকেই হাতিয়ার করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার নবান্নের সভাঘরে ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রমোশন বোর্ডের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ছিলেন অন্য মন্ত্রীরাও। আর ছিলেন শিল্পপতিরা। এখানেই মমতা জানান, আগামিদিনে ৪১ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অবাক হয়ে যাবেন, এমএসএমই সেক্টরে ১ লক্ষ ১৪ হাজার লাখ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এর পরেই তিনি জানান, আগামিদিনে এই ক্ষেত্রে চাকরি হবে ৪১ লক্ষ মানুষের। তিনি বলেন, রাজ্যে কর্মসংস্থান সংক্রান্ত এই তথ্য কেন্দ্রীয় সরকারের। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ১ কোটি মানুষের চাকরি হয়েছে। কলকাতায় ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার নিজেদের দফতর করছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, এখানে ৩০ হাজার মানুষের কাজ হবে। মমতা বলেন, শুধু সরকারি নয়, বেসরকারি ক্ষেত্রেও চাকরি হয়।
এদিনের বৈঠকেই ঘোষণা করে দেওয়া হয় বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলেনর নির্ঘণ্ট। ২১-২৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ওই সম্মেলন। রাজ্যের শিল্প ও ইকোনমিক করিডর নিয়ে প্রচারের জন্য মন্ত্রী শশী পাঁজা ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। শিল্পে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থান তুলে ধরতে রাজ্যে মেট্রো কোচ নির্মাণ শিল্প, ওয়াগন শিল্প, খড়্গপুরে হতে চলা টাটা-হিটাচির কারখানার কথাও এদিনের বৈঠকে উল্লেখ করেন মমতা। তিনি বলেন, টাটা ও হিটাচি জামশেদপুর থেকে চলে আসছে পশ্চিমবঙ্গের খড়্গপুরে। এদিনের বৈঠকে দেউচা পাঁচামি প্রসঙ্গও ওঠে। দিন কয়েক আগে রাজ্যে পোস্ত চাষের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন ফের সেই প্রসঙ্গ তোলেন। বলেন, এখানকার কৃষকরা পোস্ত চাষ করলে লাভবান হবে।
আরও পড়ুুন: ‘‘আসল চোর কালীঘাটে বসে হাসছে’’! নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক সুকান্ত
তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরেই বিনিয়োগের নিরিখে বাংলাকে দেশের শীর্ষ স্থানে নিয়ে যাওয়াই তাঁর সরকারের লক্ষ্য বলে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। বিনিয়োগ টানতে এবং বিনিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা দূর করতে কেন্দ্রীয়ভাবে শিল্পোন্নয়ন বোর্ডও তৈরি করে রাজ্য। এর দায়িত্বে রয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। বিনিয়োগ টানতে ফি বছর ঘটা করে শিল্প সম্মেলন হয়। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ করে হওয়া ওই সম্মেলন শেষে শোনা যায় এত হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে, তত হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, তার পরেও যে কাজের কাজ কিছু হয় না, রাজ্যের বেকারত্বের লেখচিত্র দেখলেই তা স্পষ্ট হয়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।