img

Follow us on

Thursday, Sep 19, 2024

100 Days Work: বন্ধ ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা, নেই বিকল্প কাজ, পঞ্চায়েত ভোটের মুখে বিপাকে রাজ্য সরকার

জোড়া চিন্তায় নবান্ন, কী কী জানেন?...

img

প্রতীকী ছবি।

  2022-11-05 13:32:16

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের দেওয়া টাকায় হয়েছে খয়রাতি। টাকার অভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে একশো দিনের কাজ (100 Days Work) প্রকল্প। স্বাভাবিকভাবেই বাড়ছে চাপ। বিভিন্ন সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) দাবি করছেন, বিকল্প কাজ দেওয়া হচ্ছে। তবে তা যে নিছকই ফাঁকা আওয়াজ মাত্র, সরকারি নির্দেশেই তা স্পষ্ট।

সম্প্রতি একটি সার্কুলার জারি করেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। ওই সার্কুলারে বলা হয়েছে, বিভিন্ন দফতরের তরফে জবকার্ড (Job Card) হোল্ডারদের যে কাজ দেওয়া হচ্ছে, তা সন্তোষজনক নয়। তাই দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। এই সার্কুলারের নীচেই কী কী করতে হবে, তা বলে দেওয়া হয়েছে।

প্রথম করণীয় কর্তব্য হিসেবে বলা হয়েছে, যে সব অদক্ষ শ্রমিকের জবকার্ড রয়েছে, একশো দিনের কাজ প্রকল্পে কেবল তাঁদেরই নিযুক্ত করতে হবে। দ্বিতীয় কর্তব্য হল, যাঁরা কোনওভাবে কাজে নিযুক্ত হয়েছেন, অথচ জবকার্ড নেই, জেলা প্রশাসনের উচিত তাঁদের তা অবিলম্বে দিয়ে দেওয়া। মুখ্য সচিবের জারি করা ওই নির্দেশিকায় হইচই রাজ্যজুড়ে। 

একশো দিনের কাজ প্রকল্পে জবকার্ড হোল্ডাররা যাতে কাজ পান, তার ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্র। গরিব মানুষ যাতে উপকৃত হন, সেজন্য একাধিক প্রকল্পও চালু করেছে মোদি সরকার। অভিযোগ, সেই সব কেন্দ্রীয় প্রকল্পকে রাজ্যের প্রকল্প বলে চালানো হচ্ছিল। একশো দিনের কাজেও বিস্তর দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। কেন্দ্রের দেওয়া টাকায় হয়েছে খয়রাতি। শেয়ালকে কুমির ছানা দেখানোর মতো একই কাজকে বিভিন্নভাবে দেখানো হয়েছে। সেই ‘চুরি’র পর্দা ফাঁস হয়ে যেতেই টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। 

পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় প্রকল্প খরচে অনিয়মের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বকেয়া টাকা দিতে দিল্লি যে নারাজ, তাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রীয় গ্রামান্নোয়ন মন্ত্রকের মহাত্মা গান্ধী গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্পের অধিকর্তা ধরমবীর ঝা রাজ্যের পঞ্চয়েত সচিব পি উল্গানাথনকে চিঠি দিয়ে এই অবস্থানের কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। রাজ্যে গ্রামান্নোয়ন প্রকল্পে খরচের অনিয়ম নিয়ে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল যে সব প্রশ্ন তুলেছিল তা কার্যকর করা নিয়ে রাজ্য সরকারের অ্যাকশন টেকেন রিপোর্টে দিল্লি যে সন্তুষ্ট নয়, তাও পরিষ্কার করে দিয়েছে এই চিঠিতে।

প্রায় ২ কোটি টাকা ভুয়ো খরচ হয়েছে বলে কেন্দ্রকে পাঠানো অ্যাকশন টেকেন রিপোর্টে উল্লেখ করেছে রাজ্য সরকার। পরের চিঠিতে কেন্দ্রীয় অধিকর্তা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল বাংলায় এসে মাটি ফেলার কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। সেই সব কাজে খরচ হওয়া সমস্ত টাকা উদ্ধার করতে হবে। এই কাজে যে সব সরকারি কর্মচারি বা পঞ্চায়েত কর্মী টাকা আত্মসাৎ করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। কেন্দ্রের মতে, চালু রাস্তার ওপর মাটি ফেলার নাম করে তহবিল তছরুপ করা হয়েছে।


প্রসঙ্গত, রাজ্যে জব কার্ড হোল্ডারের সংখ্যা প্রায় দেড় কোটি। এঁরা সবই অদক্ষ শ্রমিক। রাজ্য সরকার দাবি করেছিল, ১৬টি সরকারি দফতর থেকে জবকার্ড হোল্ডার এই অদক্ষ শ্রমিকদের বিকল্প কাজের সুযোগ করে দেওয়া হবে। কিন্তু, গত মে মাস থেকে এই দফতরগুলি মাত্র ২৮ লক্ষ ৪৪ হাজার জবকার্ড হোল্ডারকে গড়ে ১৮ দিন কাজ দিতে পেরেছে। ফলে, কাজ না থাকায় জব কার্ড হোল্ডারদের একটা বড় অংশ কাজ পাচ্ছেন না। তাই এখন জবকার্ড বিলিতে কাটছাঁট করতে চাইছে রাজ্য।

আরও পড়ুন: নবান্নে এখনই বৈঠক হচ্ছে না অমিত শাহ- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, বাতিল হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলা সফর

স্বাভাবিকভাবেই নবান্নের এখন জোড়া চিন্তা। এক, কেন্দ্রের কাছ থেকে বকেয়া টাকা পাওয়া এবং দুই, গ্রামবাংলার কর্মহীন মানুষকে বিকল্প কর্মসংস্থান দেওয়া। আপাতত তারই পন্থা হাতড়াচ্ছে নবান্ন। সেই কারণেই সরকারি সার্কুলার বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

Tags:

Mamata Banerjee

Delhi

Bengali news

100 days work

Job Card

state government

MGNRGA


আরও খবর


ছবিতে খবর