Mamata Banerjee: মমতার পুলিশকে তুলোধনা করলেন শুভেন্দু, কী বললেন?
পুলিশকে তীব্র আক্রমণ করলেন শুভেন্দু অধিকারী (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকারের পুলিশ যৌন হেনস্থা বা ধর্ষণের অভিযোগই দায়ের করতে চায় না! এমনই অভিযোগ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ফরাক্কার ঘটনা প্রসঙ্গে এই দাবি করেছেন তিনি। তাঁর সাফ কথা, আরজি কর বা জয়নগরের মতো ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরও পুলিশ দলদাসের মতো কাজ করেই চলেছে। কোথাও কোনও যৌন হেনস্থা বা ধর্ষণের অভিযোগ কেউ করতে গেলে তা দায়ের করতে অস্বীকার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁর।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজোর জন্য দিল্লি থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে ফরাক্কায় দাদুর বাড়িতে ঘুরতে এসেছিল নির্যাতিতা। দাদুর বাড়ির কাছেই থাকে দীনু হালদার নামে ওই ব্যক্তি। সকালে গ্রামের মাঠে বন্ধুদের সঙ্গে খেলছিল শিশুটি। পুজোর ফুল দেওয়ার বাহানায় শিশুকন্যাকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে ফরাক্কায়। তারপর বস্তা বন্দি করে সে দেহ লোপাটের চেষ্টাও করা হয়। রবিবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তেতে ওঠে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা থানার রেল কলোনি। থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ হয়রানি করে। ধর্ষণের অভিযোগ নিতে চায়নি বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: পুলিশের ‘না’, তবে ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ হচ্ছেই, আজ মানব-বন্ধন কর্মসূচি জুনিয়র ডাক্তারদের
এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘শিশুর বাবা-মা যখন থানায় অভিযোগ জানাতে যান তখন তাঁদের রীতিমতো হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এফআইআর যাতে দায়ের না করা হয় তারজন্য ভয় দেখানো হয়। পুলিশ প্রথমে মামলা দায়েরই করতে চায়নি। শিশুর বাবা-মাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। তাঁদের সঙ্গে অত্যন্ত খারাপ ব্যবহারও করা হয়। কিন্তু শিশুর পরিবার এবং গ্রামের লোকেদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে অবশেষে পুলিশ মামলা দায়ের করতে বাধ্য হয়। ফরাক্কা পুলিশ স্টেশনের আইসি নীলোৎপল মিশ্রকে সাসপেন্ড করার দাবি জানাচ্ছি।’’ শুভেন্দু আরও বলেন, ‘‘কেন বারবার এমন ঘটনা ঘটছে? কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ এই ধরনের অভিযোগ নিতে চাইছে না? তাহলে কি এনসিআরবি ডেটায় রাজ্যের অপরাধ কম দেখানোর এটা নতুন কোনও পন্থা?’’
শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘বিষাদের মধ্যে আমরা পুজো কাটিয়েছি। সিবিআই ৫৮ দিনের মাথায় প্রাথমিক চার্জশিট দিয়েছিল। কারণ সঞ্জয় ৬০ দিনে জামিন পেয়ে যেত। সিবিআইয়ের প্রবক্তা হিসেবে বলছি না। একজন আইনপ্রণেতা হিসেবে বলছি। জুনিয়র ডাক্তাররা যেখানেই আন্দোলন করুন না কেন, তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছেন। সিবিআইয়ের ওপর যেমন আস্থা রাখছি তেমনি তাঁদের এই আন্দোলনের ওপরেও আস্থা রয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকটা আন্দোলন শিষ্টাচার মেনে করছেন। তাঁরা মন খুলে দাবি করুন। সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে এই তদন্ত হচ্ছে। আমাদের সকলের উচিত সুপ্রিম কোর্টের ওপর আস্থা রাখা।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।