ঝাড়খণ্ড ইস্যুতে মমতাকে নিশানা সুকান্তর...
সুকান্ত মজুমদার ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ফাইল ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার রাতেই গ্রেফতার হন হেমন্ত সোরেন। বাড়িতে টানা ৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। গ্রেফতারির ঠিক আগে মুখ্যমন্ত্রী পদে তিনি ইস্তফা দেন রাজভবনে গিয়ে। নতুন মুখ্যমন্ত্রী হন চম্পাই সোরেন। ঝাড়খণ্ডের রাজনীতির এমন পট পরিবর্তনের সময়ে, বৃহস্পতিবার সুর চড়ালেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এনিয়ে সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) কটাক্ষ, ‘‘সেই জন্য আমিও বলব পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে, চম্পাই ব্যানার্জি খুঁজে রাখতে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘হেমন্ত সোরেনের গ্রেফতারি আশা করি কিছু লোকের চোখ খুলে দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী হয়েও একজন গ্রেফতার হতে পারেন।’’ প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শান্তিপুরের সভা থেকে মন্তব্য করেন তাঁকে গ্রেফতার করলে জেল ফুটো করে বেরিয়ে আসবেন তিনি।
প্রসঙ্গত, হেমন্ত সোরেনের গ্রেফতারির আশঙ্কা তখন সেদিন থেকেই শুরু হয়, যেদিন ইডি আধিকারিকরা তাঁর বহুমূল্যের গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করেন। দিল্লিতে দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি চালানো হয় হেমন্তর বাড়িতে। সেসময় বেপাত্তা হয়ে যান হেমন্ত। তখন থেকেই জল্পনা রটে নতুন মুখ্যমন্ত্রী অন্য কেউ হবেন ঝাড়খণ্ডে। জল্পনা পরবর্তীকালে সত্যিও হয়। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর মতোই একাধিক দুর্নীতিতে বর্তমানে নাম জড়িয়েছে কালীঘাটের বন্দ্য়োপাধ্যায় পরিবারেরও। ইতিমধ্যে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের পরিচালক হিসাবে ইডি তলব পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাই ও বৌদি। আবার তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রীও বারবার ডাক পেয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার। এখন দেখার পশ্চিমবঙ্গের তদন্ত আগামী দিনে কোন পথে যায়।
প্রসঙ্গত, টানা (Hemant Soren) সাত ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর বুধবার রাতে গ্রেফতার করা হয় হেমন্তকে। তার আগে দলীয় বিধায়ক ও নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন হেমন্ত। গ্রেফতারির আঁচ পেয়েই ইস্তফা দেন মুখ্যমন্ত্রী পদে। হেমন্তকে পাঠানো হয়েছে বিরসা মুণ্ডা সেন্ট্রাল জেলে। আদালত থেকে যখন তাঁকে জেলে নিয়ে যাওয়া হয় তখন হেমন্ত সোরেন জিন্দাবাদ স্লোগান দিতে থাকেন তাঁর অনুগামীরা। হেমন্ত ছিলেন মহাগটবন্ধন সরকারের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি গ্রেফতার হতেই হেমন্তের দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার বিধায়কদের উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হল হায়দরাবাদে। এদিন রাতেই তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে হায়দরাবাদে। ঘোড়া কেনাবেচা রুখতেই এই ব্যবস্থা বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।