Mamata Banerjee: চিকিৎসকের ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ড নিয়ে মমতার সরকারকে তীব্র আক্রমণ সুকান্তর…
বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজিকর হাসপাতালে মহিলা শিক্ষানবীশ চিকিৎসকের ভয়াবহ পরিণতি নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে (Mamata Banerjee) তীব্র আক্রমণ করেছেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। প্রশ্ন তুলেছেন সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজের এক্তিয়ার এবং গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে। পুলিশ প্রশাসন কার্যত দুস্কৃতীদের আশ্রয় দেওয়ার কাজ করে থাকে। এই রাজ্যে যে কোনও অপরাধীদের শাস্তি হয় না। এই খুনে ধৃত সঞ্জয় রায়, তৃণমূলের তৈরি করা পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটির সক্রিয় সদস্য। ফলে মমতা সরকার খুনিদের শাস্তি নয়, আশ্রয় দেওয়ার জন্য সরকার চালাচ্ছেন। ঠিক এই ভাবেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিজেপি এই রাজ্য সভাপতি।
রবিবার কলকাতার দলীয় কার্যালয়ে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “আরজিকর কাণ্ডে যাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে, এই সঞ্জয় রায় হলেন তৃণমূল ঘনিষ্ঠ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), শান্তনুকে দিয়ে যে পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটি তৈরি করেছেন তার সক্রিয় সদস্য এই ব্যক্তি। এই খুনি কোন থানার ভলান্টিয়ার আমরা জানি না। ভলান্টিয়ারদের নিয়োগ, কাজের এক্তিয়ার বিষয়ে হাইকোর্টে মামলা চলছে। কেন পুলিশের মতো আইন রক্ষকের ভূমিকা পালনে বিচারবিভাগ ছাড়পত্র দেয়নি সেটাও একটা বড় প্রশ্ন। গত নির্বাচনগুলিতে আমরা দেখেছি এই সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভোটকর্মী হিসাবে ব্যবহার করতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কারণ তৃণমূলের জন্য ভোট লুটে প্রধান ভূমিকা পালনের ঘটনা আগেই সকলের নজরে এসেছিল। ফলে রাজ্য সরকার কম বেতনে জোর করে রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করছে তাঁদের। কাজের পরিসীমাকে ঠিক করা উচিত।”
আরও পড়ুনঃ নিহত তরুণী চিকিৎসকের শরীরে ১১টির বেশি ক্ষতচিহ্ন, বারংবার ধর্ষণের প্রমাণ!
এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) আরও বলেন, “এই সিভিক ভলান্টিয়ারদের রাস্তার ট্রাফিক পরিচালনা করানো হয়। আবার ফাইন করানোর কাজেও ব্যবহার করে রাজ্য সরকার। সাধারণ মানুষ এবং হাসপাতাল, কেউ ভালো করে জানেই না ওদের কাজ কী। সরকার স্পষ্ট করে কোনও নির্দেশিকা জারি করেনি। তাই বিরোধী দল করলে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দেওয়ার কাজ করে সিভিক ভলান্টিয়াররা। অল্প বেতন এবং চুক্তি ভিত্তিক হওয়ায় তোলাবাজির কাজে যুক্ত হয়ে পড়ে। শাসক দলের নেতা-মন্ত্রী-সমর্থকদের মন যুগিয়ে চলতে গিয়ে অসামজিক কাজে লিপ্ত হয়। এই সরকার এই ঘটনায় জন্য প্রত্যক্ষভাবে দায়ী। আরজি করের ঘটনায় একাধিক ব্যক্তির যুক্ত থাকার প্রমাণ রয়েছে। একক ব্যক্তির কাজ নয়। মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) সিবিআইকে এখনও লিখিত অনুরোধ করেনি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আইন পরিবর্তন করতে বলছেন, গুলি করতে বলছেন কিন্তু রাজ্যের শাসক দল তো তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি নয়। তাই পদক্ষেপ তাঁদেরই নিতে হবে। সম্পূর্ণ ঘটনা পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটির আস্কারায় ঘটেছে।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।