রাজ্য বিজেপির কল-সেন্টার চালুর ইঙ্গিত দিয়েছেন শুভেন্দুও...
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। ঠিক তার আগে প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে জনসংযোগ বাড়িয়ে নিতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি (BJP)। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে রাজনৈতিক রং দেখেই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা মেলে। গ্রামবাংলায় শাসকদলের কর্মী হলেই পাওয়া যায় আবাস যোজনার ঘর, অথবা যেকোনও কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা। কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বঞ্চিতরা নিজেদের সমস্যার কথা এবার সরাসরি হেল্পলাইহেল্পলাইনে জানাতে পারবেন রাজ্য বিজেপিকে (BJP)। সমস্যাগুলি সমাধানের যাবতীয় চেষ্টাও করবে গেরুয়া শিবির। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও এরকম কল সেন্টার খোলার ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছেন। তবে এ নিয়ে বিস্তারিত এখনও সেভাবে কিছু জানা যায়নি।
নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন যে কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলিকে রাজ্য সরকার নিজেদের বলে তা চালাচ্ছে, এনিয়ে যেন সাধারণ মানুষ তৃণমূল নেতাদের প্রশ্ন করেন, এমন পরামর্শও দিতে শোনা গিয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকে। কেন্দ্রীয় প্রকল্পে যাঁরা বঞ্চিত হয়েছেন তাঁদেরকে নিয়ে বড়সড় সমাবেশও করতে চলেছে বঙ্গ বিজেপি (BJP)। ২৯ নভেম্বর ধর্মতলায় সেই সমাবেশে হাজির থাকতে পারেন খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দিচ্ছে, এই অভিযোগে দিল্লিতে গত অগাস্টেই এক প্রস্থ নাটক করে অভিষেক ও তাঁর দলবল। তারই পাল্টা এই সমাবেশ হচ্ছে। এমন সমাবেশ যে হতে চলেছে তার ইঙ্গিত তখনই পাওয়া গিয়েছিল যখন অভিষেক রাজভবনের সামনে ধরনায় বসেছিলেন। রাজ্য সরকারকে লোকসভা ভোটের আগে দুর্নীতি ইস্যুতে চেপে ধরতে চাইছে গেরুয়া শিবির।
বিজেপি নেতৃত্ব বার বারই দাবি করে এসেছেন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা নয়ছয় করছে মমতা সরকার। গ্রামস্তরে দুর্নীতির টাকার ভাগ নিয়ে শাসক দলের গোষ্ঠীবিবাদও আর অজানা নয়। কাটমানি দিলে মিলবে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা, এমন অলিখিত নিয়ম (BJP) পশ্চিমবঙ্গের সব গ্রামেই চালু রয়েছে। শাসক দলের এমন দুর্নীতিতে মানুষের ক্ষোভ চরমে রয়েছে। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোট পরবর্তী সময়ে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগে শাসক দলের নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করেছিল সাধারণ মানুষ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।