TMC: হাওড়ায় মঙ্গলাহাটে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে টাকা তোলার অভিযোগে চাঞ্চল্য…
মঙ্গলাহাটে চলছে তোলাবাজি। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলাহাটে (Mangla Haat) প্রকাশ্যেই চলছে অবাধে ‘তোলাবাজি’। অভিযোগ তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, হাটে বসার জন্য জায়গা বাবদ টাকা দিতে হচ্ছে। আবার, হাটের দিনগুলিতে ফুটপাতের উপর বসার জন্য তৃণমূলের নেতাদের দাবি অনুসারে ২০ থেকে ৪০ হাজার টাকা দিতে হয়। প্রকাশ্যে এইরকম তোলাবাজির অভিযোগে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
তখন সকাল ৬টা ২০ মিনিট, হাওড়া নগরপালের কার্যালয়ের সামনে রাস্তায়, সবুজ রঙের গোল গলা গেঞ্জি পরনে হাফ প্যান্টে এক যুবককে দেখা গেল, হাত পেতে ফুটের উপরে বসা এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা চাইছেন। ব্যবসায়ীও কথা না বাড়িয়ে যুবকের দাবি অনুযায়ী হাতে টাকা গুঁজে দিলেন। মুহূর্তে এক এক করে সমস্ত ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা আদায় করে যুবক। আবার সকাল ৭টায় দেখা গেল, হাওড়া থানার সামনে বঙ্কিম সেতুর নিচে ফাঁসিতলা মোড় পর্যন্ত যখন ব্যবসায়ীদের (Mangla Haat) বিক্রিবাট্টা চলছিল, সেই সময় কাঁধে সবুজ শার্ট আর নীল জিন্স পরা এক ব্যক্তি হাতে খাতা ও দলবল নিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছে যাচ্ছেন। এরপর খাতায় নাম লিখে টাকা নেওয়া শুরু করেন। টাকা তুলে দ্রুত এলাকা থেকে চম্পট দেন। এক ব্যবসায়ীকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “আমরা অন্য জেলা থেকে এসে দুদিনের জন্য ব্যবসা করি। তার মধ্যে ঝামেলা করতে ভালো লাগে না। তৃণমূলের লোকজন এই টাকা তোলেন। পুলিশকে জানিয়েও কোনও লাভ নেই।”
মঙ্গলাহাটের (Mangla Haat) ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, “হাটে বসার জন্য জায়গা বাবদ ভাড়া দিতে হয়, কিন্তু হাটের দিন ফুটপাতে বসার অনুমতি পেতে ২০ থেকে ৪০ হাজার টাকা দিতে হচ্ছে। হাটে আগুন লাগার পর থেকে এই জুলুম বেশি করে শুরু হয়েছে। শাসক দল (TMC) ঘনিষ্ঠ হকার ইউনিয়ানের নেতৃত্বে এই তোলাবাজি চলছে।”
আরও পড়ুনঃ রূপনারায়ণ নদে চলছে দেদার বালি চুরি! ফাটল রেলের সেতুতে, শোরগোল
মঙ্গলাহাট (Mangla Haat) ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে রাজকুমার সাহা বলেছেন, “আমরা জানি, এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তবে, আমাদের কাছে লিখিত কোনও অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবসায়ীদের জন্য যা উপযুক্ত তাই করব। প্রশাসনের উচিত কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা।” আবার পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল হকার ইউনিয়ানের সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা (TMC) সমর মুখোপাধ্যায় বলেছেন, “আমাদের কোনও লোক তোলাবাজির সঙ্গে যুক্ত নন। টাকা নেওয়া কোনও ভাবেই উচিত নয়। পুলিশের কাছে আমরা অভিযোগ করব।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।