বাগদার চন্দন মণ্ডলের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করল ইডি।
মানিক-তাপস
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেট দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার প্রথম মানিক ভট্টাচার্য- ঘনিষ্ঠ (Manik Bhattacharya) তাপস মণ্ডলকে জেরা করল সিবিআই। প্রথম দিনের জেরাতেই মানিকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন তাপস মণ্ডল। এদিন তিনি বলেন, "টাকা নিলেও রসিদ দিতেন না মানিক ভট্টাচার্য।" এদিকে সংবাদমাধ্যমের সামনে তাপস বলেন, "ইডিকে যা বলেছিলাম সিবিআইকে তাই বলেছি।"
মঙ্গলবার সকালে সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআইয়ের দফতরে হাজিরা দেন তাপস মণ্ডল। ঢোকার আগেই তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, "সিবিআই আমাকে দেখা করতে বলেছিল। আমি চিকিৎসার জন্য চেন্নাইয়ে ছিলাম। ফিরে জানাই। তারা মঙ্গলবার আমাকে দেখা করতে বলেন।"
প্রায় ৩ ঘণ্টা সিজিও কমপ্লেক্সের ভেতরে কাটান তাপসবাবু। জেরার পর বেরিয়ে তাপস মণ্ডল বলেন, "ইডিকে যা বলেছিলাম সিবিআইকেও তাই বলেছি। মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya) অফলাইন রেজিস্ট্রেশনের জন্য ছাত্র পিছু ৫,০০০ টাকা করে নিতেন। ডিএলএড কলেজ সংগঠনের প্রধান হিসাবে সেই টাকা আমি মানিকবাবুকে তুলে দিতাম। কিন্তু তিনি কোনও দিন কেনও রসিদ দেননি। তবে কাজে কোনও বাধা আসত না। ফলে কখনও এই নিয়ে কোনও প্রশ্ন ওঠেনি। এখন সংসদ অফলাইন ভর্তির জন্য ৩০০০ টাকা করে নিচ্ছে। তারা বলেছে রসিদ দেবে।" তিনি আরও বলেন, "আমার কাছে যে ২১ কোটি টাকার হিসাব চাওয়া হয়েছিল তা আমি মিটিয়ে দিয়েছি।"
আরও পড়ুন: জেলে বসেও গরুপাচারের মূল অভিযুক্ত এনামুলের সঙ্গে কথা হয়েছে অনুব্রতর, দাবি সিবিআই- এর
প্রসঙ্গত, টেট নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এর আগে একাধিকবার ইডির ডাকে হাজিরা দিয়েছেন তাপস মণ্ডল। ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাতে দাবি করা হয়েছে, মানিকের সঙ্গে দুর্নীতিতে হাত মিলিয়েছিলেন তাপসও। জানা গিয়েছে, এই মামলায় মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) জেরা করতে পারে সিবিআই। আর তার পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবেই তাপসকে জেরা করার এই পদক্ষেপ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
এবার এই একই মামলায় এবার তৃণমূল নেতা চন্দন মণ্ডলের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করেছে ইডি। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে তৃণমূল নেতা চন্দন মণ্ডলের বাড়িতে ইডি আধিকারিকরা নোটিস লাগিয়ে আসেন। যেখানে বলা হয় টেট দুর্নীতির তদন্তে তাঁকে ৩০শে ডিসেম্বর হাজিরা দিতে হবে ইডির অফিসে। কিন্তু চন্দন মণ্ডল সেই নোটিসে কোনো সাড়া দেন নি। আর তারপরেই জারি করা হয় এই লুকআউটি নোটিস। প্রসঙ্গত, টেট পরীক্ষা নিয়ে বাগদার প্রাক্তন বিধায়ক উপেন বিশ্বাসের বক্তব্যে চন্দন মণ্ডলের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। আর তারপরেই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। হাইকোর্টের তরফ থেকে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়। সেই সময় সিবিআই চন্দন মণ্ডলের বাড়িতে তল্লাশি করা থেকে শুরু করে চন্দন মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। কিন্তু এবার ইডি ডাক পাঠাতেই চন্দন মণ্ডল নিরুদ্দেশ হয়ে যান। ইডির নোটিসের পর অস্বস্তিতে রাজ্যের শাসক দল।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।