কত তাড়াতাড়ি বাড়িতে ফিরবেন, প্রহর গুনছে মানিকের পরিবার....
উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ পথ। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরকাশীতে সুড়ঙ্গে (Uttarkashi tunnel) আটকে থাকা ৪১ জন শ্রমিকের মধ্যে বাংলার তিনজন শ্রমিক ছিলেন। কোচবিহারের একজন এবং হুগলির বাকি দুজন। গতকাল মঙ্গলবার সুড়ঙ্গে আটকে থাকা সকল শ্রমিককেই বের করে আনা হয়েছে। গোটা উদ্ধারকার্যকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং নজরে রেখেছিলেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি, কেন্দ্রীয়মন্ত্রী ভি.কে সিং।
আতঙ্কের প্রহর শেষ করে বাইরে বের হওয়ার পর, কোচবিহারের শ্রমিক মানিক তালুকদারের স্ত্রী সোমা তালুকদার স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন। ফোনে স্বামীর কণ্ঠ শুনে নিজের হাত কপালে জড়ো করে ভাগবানকে স্মরণ করলেন। ছেলে মণি বাবার সঙ্গে কথা বলতে বলতে ফোন কেটে যায়। কারণ মানিককে অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল হাসপাতালে। স্ত্রী সোমা এবং ছেলে মণি এখন অপেক্ষার প্রহর গুনছেন কত তাড়াতাড়ি মানিক ঘরে ফিরবেন।
টানা ১৭ দিন ধরে সুড়ঙ্গে (Uttarkashi tunnel) আটকে থাকায় মানিকের স্ত্রী বাড়িতে অত্যন্ত উৎকণ্ঠায় দিনপাত করছিলেন। দুশ্চিন্তায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালেও নিয়ে যেতে হয়েছিল। স্বামীর প্রতি চিন্তা ব্যক্ত করে বলেন, “ভালো আছেন মানিক, আর কোনও দিন ঝুঁকির কাজে পাঠাবো না। উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁকে। টিভিতে দেখে ঠিকই মনে হয়েছে। তবে এতো দিন আটকে থাকার পর শারীরিক সমস্যা হয়েছে কী না তাই এখন দেখার। তবে ওঁর এখন চিকিৎসা দরকার।”
সুড়ঙ্গে (Uttarkashi tunnel) আটকে পড়া শ্রমিক মানিকের ছেলে মণি তালুকদার বলেন, “অনেক দিন ধরে উদ্বিগ্ন ছিলাম। বাবা কবে আসবেন সেই ভাবনাই মনে মনে কাজ করছিল। তবে কাল বাবার সঙ্গে ফোনে সরাসরি কথা বলে বেশ ভালো লেগেছে। তবে কথা বলতে বলতে ফোনটা কেটে গিয়েছে। আমি চাই বাবা খুব তাড়াতাড়ি বাড়িতে ফিরে আসুক।”
পরিবারের লোক অনেক দিন আগেই পৌঁছে গিয়েছিলেন উত্তরকাশীতে (Uttarkashi tunnel)। পারিবারের সূত্রে জানা গিয়েছে, সুড়ঙ্গে আটকে পড়ার খবর পেয়েই মানিকের দাদা বিনয় তালুদার এবং এক নিকট আত্মীয় ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলেন। এদিন সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধারের পর থেকেই বাড়িতে ভিড় করছেন প্রতিবেশীরা। অনেকেই উদ্ধারের খবরে খুশি হয়ে মিষ্টি মুখ করালেন স্ত্রী সোমাকে। এমনকী উচ্ছ্বাসে অনেকে বাজিও ফাটান বলে জানা গিয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।