আলাদা নম্বর দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা অভিষেকের
ভোট দিতে না পারা বিক্ষুদ্ধ তৃণমূল কর্মী (নিজস্ব চিত্র)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবজোয়ার কর্মসূচিতে ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। পঞ্চায়েতে যোগ্য প্রার্থী ঠিক করার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নির্দেশে নবজোয়ার কর্মসূচিতে ভোট দিতে এসেছিলেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। কিন্তু, তৃণমূলের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর নির্দেশে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে বহু ভোটার ভোট দিতে পারলেন না। রবিবার এই ঘটনার সাক্ষী থাকল পূর্ব বর্ধমান জেলার রায়না-২ ব্লকের গোতান এলাকার মানুষ। এর আগে এই জেলার জামালপুরেই ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। মন্তেশ্বর ব্লকেও একই ঘটনা ঘটেছিল। এবার রায়না-২ ব্লকে পুলিশকে দিয়ে ভোটদানে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল ফের প্রকাশ্যে চলে এসেছে।
অভিষেকের (Abhishek Banerjee) নবজোয়ার কর্মসূচিতে রায়না-২ ব্লকে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য ভোটগ্রহণের ব্যবস্থা করা হয়। এই ব্লকের গোতান সহ একাধিক অঞ্চলের হাজার হাজার তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক ভোট দিতে আসেন। অভিযোগ, যারা প্রকৃত ভোটার, যাদের তালিকায় নাম নথিভুক্ত আছে তারা ভোট প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারছে না। পুলিশ দিয়ে তাদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূলের অন্য গোষ্ঠীর লোকজন বেআইনিভাবে প্রকৃত ভোটারদের জায়গায় ভোট দিয়ে দিচ্ছেন। পরিস্থিতি আঁচ করে বঞ্চিতরা যাতে ফোনে ভোট দিতে পারেন তারজন্য একটি নম্বর দিয়েছেন অভিষেক। সেখানে তৃণমূল কর্মীরা নিজেদের মতামত জানাতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য, অভিষেকের (Abhishek Banerjee) নির্দেশ মতো আমরা প্রায় আড়াই হাজার কর্মী-সমর্থক ভোট দিতে এসেছিলাম। কিন্তু, আমরা ভোট দিতে পারিনি। তৃণমূলের পদাধিকারীদের নির্দেশে পুলিশ আমাদের ভোট দিতে বাধা দেয়। সাহেব আলি খান নামে এক বিক্ষুব্ধ কর্মী বলেন, স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্যই প্রতিটি বুথ থেকে দেড়শো জন করে কর্মী এখানে এসেছিল। কাউকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক (Abhishek Banerjee) একটি ফোন নম্বর দিয়েছেন, সেই নম্বরে যোগাযোগ করে এখন ভোট দেব। তবে, কর্মীরা এসে ভোট দিতে না পেরে হতাশ হয়েছেন।
কী বললেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব?
তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি অসিত মাল বলেন, দলের নির্দেশ মত এবং দলের নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী ভোট প্রক্রিয়া চলছে। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে। পুলিশ কী বাধা দিয়েছে তা জানা নেই। জেলা তৃণমূলের সম্পাদক সৈয়দ কলিমুদ্দিন বলেন, সামান্য একটু গণ্ডগোল হয়েছিল। এখন তা মিটে গিয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে কে কী বলল তা আমাদের জানা নেই।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।