Medical Waste: করোনা আবহে রাজ্যের অবহেলায় নতুন আশঙ্কা প্রকাশ কেন্দ্রের...
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টিকা দেওয়ার পরে ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জ কিংবা ফাঁকা ওষুধের প্যাকেট ঠিক মত নষ্ট করা হয় না। আর তার জেরেই সংক্রামক রোগের বাড়বাড়ন্ত। এমনি অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বিরুদ্ধে।
স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি কেন্দ্রের তরফ থেকে রাজ্যকে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। যেখানে টিকাকরণের পরে মেডিক্যাল বর্জ্য ঠিকমত নষ্ট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগে ব্রুসেলা ভাইরাসের টিকাকরণের সময়ে মেডিক্যাল বর্জ্য নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে নষ্ট না করার জন্য রোগ ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল। প্রাণীবাহিত এই রোগ পশুপালক ছাড়াও, সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়াচ্ছে। মেডিক্যাল বর্জ্য নির্দিষ্ট নিয়মে নষ্ট না করার জেরেই এই বিপদ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই ধরণের সংক্রামক রোগের টিকা দেওয়ার পরে যদি নির্দিষ্ট নিয়মে বর্জ্য নষ্ট করা না হয়, তাহলে তা খুব সহজেই সুস্থ মানুষের দেহে রোগ ছড়াতে পারে। তাই এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য কর্মীদের বাড়তি সতর্কতা নেওয়া অবশ্যই জরুরি।
দিন কয়েক আগে রাজ্যে এক ব্রুসেলা আক্রান্তের মৃত্যু আশঙ্কা আরও বাড়িয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের বাসিন্দা বছর পঞ্চাশের শরদিন্দু ঘোষ ব্রুসেলা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন বলেই পরিবারের অভিযোগ। জ্বর, ডায়রিয়ার মত উপসর্গ নিয়ে শরদিন্দু ঘোষ কলকাতা স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে ভর্তি ছিলেন। পরিবারের অভিযোগ, মৌখিকভাবে ব্রুসেলা আক্রান্ত জানানো হলেও ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসেবে শুধু মাল্টি অর্গ্যান ফেলিওর লেখা হয়েছে। যদিও স্বাস্থ্য দফতর এ নিয়ে কোনও কথা বলতে নারাজ।
আরও পড়ুন: বুস্টার ডোজ নেওয়ার পর নেজাল ভ্যাকসিন নেওয়া যাবে না, জানালেন কোভিড টাস্ক ফোর্স প্রধান
করোনা আবহে এই ধরণের গাফিলতি বাড়তি উদ্বেগ তৈরি করছে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকেরা। তারা জানাচ্ছেন, করোনা টিকাকরণের সাফল্য শুধু কতজনকে টিকা দেওয়া হল, তার উপরেই নির্ভর করে না। যদি টিকা দিতে গিয়ে কোনও রকম গাফিলতির জেরে রোগ ছড়ায় তাহলে আরও বিপদ বাড়বে। তাই স্বাস্থ্য দফতরের এদিকে নজর দেওয়া দরকার। তবে, শুধু করোনা নয়, যে কোনও টিকাকরণের পরেই এই ধরণের সতর্কতার সঙ্গে মেডিক্যাল বর্জ্য নষ্ট করতে হবে।
পাশাপাশি চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, করোনার মত ব্রুসেলা ভাইরাসের উপসর্গ। তাই ব্রুসেলা রোগ ছড়ানো আটকানো জরুরি। জ্বর, কাশি, গায়ে ব্যথা, ডায়রিয়ার মত একধরণের উপসর্গ দুটি রোগেই দেখা যায়। তাই মানুষের মধ্যে আতঙ্ক আরও বাড়তে পারে। স্বাস্থ্য দফতরের অসতর্কতার জেরেই মানুষের এই হয়রানি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।