রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়েও র্যাগিং! ফের তোলপাড়
রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়। নিজস্ব চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে এক ছাত্রকে মানসিকভাবে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠল রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে (Uttar Dinajpur)। মূল অভিযোগ এক অধ্যাপক ও অধ্যাপিকার বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত গত অগাস্ট মাস থেকেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ছাত্রের র্যাগিংয়ে মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র তোলপাড় শুরু হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই র্যাগিংয়ের ঘটনায় শিক্ষাবিদ থেকে ছাত্র-ছাত্রী, গবেষক অধ্যাপিকা, রাজনৈতিক নেতা এমনকি রাজ্যপালকেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা গেছে। ফের র্যাগিংয়ের অভিযোগে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে উত্তরবঙ্গের রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে।
র্যাগিংয়ের অভিযোগ করেন কিষাণ বর্মন নামে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের (Uttar Dinajpur) তৃতীয় বর্ষের ইংরেজি বিভাগের এক ছাত্র। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক এবং এক অধ্যাপিকার নামে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন তিনি। কিষাণ বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে ঠিকমত ক্লাস হচ্ছে না। বিশেষ করে সান্ধ্যকালীন সময়ে ক্লাস বেশির ভাগ সময়ে বন্ধ থাকে।" সম্প্রতি এই ঘটনার প্রতিবাদ করেছিলেন কিষাণ। আর তার পর থেকেই ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. সংযুক্তা চ্যাটার্জি, অধ্যাপক ড. নির্ঝর সরকার এবং একাংশ গবেষক তাঁকে প্রায়ই ক্লাস থেকে বের করে দিতেন। সেই সঙ্গে অকারণেই ক্লাসে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করতেন বলে অভিযোগ। এই মানসিক নির্যাতনের প্রেক্ষিতে কিষাণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন।
র্যাগিংয়ের এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ ও আদিবাসী উন্নয়ন দফতর এবং জেলা প্রশাসনের (Uttar Dinajpur) অনুরোধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে । যার চেয়ারম্যান করা হয়েছে কলা বিভাগের ডিন অধ্যাপক প্রশান্ত মাহালাকে। এই বিষয়ে মঙ্গলবার একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এদিনের বৈঠকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় বলে সূত্রের খবর। এদিকে এই নবগঠিত কমিটি এই ঘটনায় জোর তদন্ত শুরু করেছে। এই তদন্ত শেষে রিপোর্ট পাঠানো হবে জেলা অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ ও আদিবাসী উন্নয়ন দফতর, জেলা প্রশাসন ও রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতরের কাছে।
অভিযুক্ত অধ্যাপকের বক্তব্য
যদিও ছাত্রের মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ মানতে নারাজ অভিযুক্ত বিভাগীয় প্রধান ড. সংযুক্তা চ্যাটার্জি । তিনি বলেন, “সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। তদন্ত বৈঠকে সবাইকে ডাকা হয়েছিল, সেখানে সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি তদন্ত কমিটিকে সহযোগিতাও করেছি আমি। কার্যত মিথ্যা অভিযোগ করে বিশ্ববিদ্যালয়কে (Uttar Dinajpur) কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।” পাশাপাশি বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ হওয়ায় আর বিশেষ কিছু বলতে চাননি।
অপরদিকে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ড. দুর্লভ সরকার বলেন, "নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন উপাচার্য। সেই তদন্ত কমিটি সামগ্রিক পরিস্থিতি এবং অভিযোগ খতিয়ে দেখছে। সব পক্ষকে ডেকেই তদন্ত কমিটি বিষয়টি জানার চেষ্টা করছে।" প্রসঙ্গত, আগামী ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেশ করার কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন (Uttar Dinajpur)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।