পিংলার স্কুল ছাত্রী অপহরণ কাণ্ডে পুলিশকে কী নির্দেশ দিল হাইকোর্ট?
কলকাতা হাইকোর্ট (ফাইল ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিকিম থেকে এক দশম শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণ করার অভিযোগ ওঠে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির ভাগ্নের বিরুদ্ধে। অপহরণের পাশাপাশি নাবালিকা ওই ছাত্রীকে বিয়ের আগে জোর করে ধর্মান্তরণ করা হয় বলে অভিযোগ। এখানেই শেষ নয়, নাবালিকাকে সাবালিকা প্রমাণ করতে জন্ম শংসাপত্র থেকে শুরু করে যাবতীয় নথি জালিয়াতি করার অভিযোগ উঠেছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা উঠেছে কলকাতা হাইকোর্টেও (High Court)।
মামলাকারীর আইনজীবী তন্ময় বসুর বক্তব্য, পিংলা থানা এলাকার বাসিন্দা বছর ১৫ র নাবালিকা যখন রোজ স্কুলে যেত, তখন প্রায়ই তাকে উত্তপ্ত করত অসিউর রহমান নামে এক যুবক। সে পিংলার অঞ্চল সভাপতির ভাগ্নে। বেশ কয়েকবার তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। স্থানীয় অঞ্চল সভাপতির ভাগ্নের হাত থেকে বাঁচাতে বাধ্য হয়েই মেয়েকে পিংলা থেকে সিকিমে মামার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় তার পরিবার। কিন্তু, তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। অভিযোগ, সিকিম থেকেই ওই নাবালিকাকে অপহরণ করা হয়। গত ১৮ জুন অপহরণের অভিযোগ আনা হয় পরিবারের তরফে। কিন্তু, তিন মাসেও হারানো মেয়েকে উদ্ধার করতে না পেরে বাধ্য হয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (High Court) দ্বারস্থ হন নাবালিকার বাবা।
এক সপ্তাহের মধ্যে ওই নিখোঁজ নাবালিকাকে উদ্ধার করে সিডব্লিউসি-র হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ৬ অক্টোবর মামলার পরবর্তী শুনানি। আদালতের (High Court) আরও নির্দেশ, নাবালিকার পরিবারকে সম্পূর্ণ পুলিশি নিরাপত্তা দিতে হবে। নাবালিকা ও তার পরিবারের যদি কোনও ক্ষতি হয়, তার জন্য দায়ী থাকবে পিংলা থানার পুলিশ। মামলাতেই হাইকোর্টের কোপে পড়তে হয় পিংলা থানার পুলিশকে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, পুলিশ কি কাউকে আড়াল করছে! নাকি কাউকে বাঁচাতে চুপ রয়েছে! না হলে, তিন মাস কোনও তদন্ত হয়নি কেন? আদালতে পুলিশের নতুন তথ্য জমা পড়তেই চাঞ্চল্য ছড়ায়। দেখা যায়, পনেরো বছরের নাবালিকাকে সাবালিকা করতে তার জন্মশংসাপত্র থেকে শুরু করে যাবতীয় নথি জালিয়াতি করা হয়েছে। আগামী শুনানিতে এনিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছে আদালত।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।