img

Follow us on

Sunday, Jan 19, 2025

Nadia: ফিল্মি কায়দায় ভরা বাজারে তৃণমূল কর্মীকে গুলিতে ঝাঁঝরা করল দুষ্কৃতীরা, কোথায় জানেন?

মেয়ের সামনেই বাবাকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা..

img

নিহত তৃণমূল কর্মী (নিজস্ব চিত্র)

  2023-04-08 09:24:21

মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বাজারে লোকজনে থিক থিক করছে। দুটি বাইকে কয়েকজন এসে একেবারে ফিল্মি কায়দায় এক তৃণমূল কর্মীকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিল। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) হাঁসখালি থানার বড় চুপড়ি বাজারে। বছর পঁচিশের মেয়ের সামনেই পর পর গুলি করে করে খুন করা হল বাবাকে। দোকানের মধ্যে ঢুকে প্রাণ বাঁচানোর আর্ত চেষ্টা করেও শেষ পর্যন্ত লুটিয়ে পড়লেন সুঠাম চেহারার ওই ব্যক্তি। আর মৃত্যু নিশ্চিত বুঝতে পেরে ভরা বাজারে লোকজনের সামনে বাইক ছুটিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম  আমোদ আলি বিশ্বাস (৫৩)।  তাঁর বাড়ি বড় চুপড়ি এলাকায়।

কে এই আমোদ আলি ?

সামনে তার পেশা ছিল চাষ বাস। আর ভিতরে  জমি কেনা বেচা থেকে শুরু করে অপরাধ জগতের অনেক কিছু করত সে। আর এসব অপরাধ আড়াল করতে তৃণমূল দলের স্থানীয় কোন সভায় লোক জড়ো করার কাজটা ভালো করেই দেখাতো সে। শাসক দলের ছত্রছায়ায় থাকলে তাকে সহজে পুলিশ ধরবে না এই আশায় এমন কৌশল করত সে এমনই দাবি তৃণমূলের একাংশের । এক কথায় বড় চুপড়ি গ্রামের 'বড় দাদা' বলেই পরিচিত ছিল সে। ইদানিং অবশ্য তার লোকবল কিছুটা কমে গিয়েছিল। তবু, শুক্রবার খুনের ঘটনার ঘণ্টা খানেক পরেও তৃণমূলের স্থানীয় প্রাক্তন যুব সভাপতি বিপিন সাধুখাঁ দাবি তুলেছিলেন, নিহত ব্যক্তি তাদের দলের গ্রাম নেতা। আমোদ দলের অঞ্চল কমিটির সহ সভাপতি ছিলেন বলে দাবি তোলেন তিনি । গ্রাম থেকে তৃণমূলের একাংশ এমন দাবি তুললেও তৃণমূলের বর্তমান ব্লক ও নদিয়া (Nadia) জেলা নেতৃত্ব অবশ্য তাতে সায় দেয়নি। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শিশির রায় জানান , "আমোদ আমাদের দলের সমর্থক। এটুকু ছাড়া আর কিছু নয়।" এদিকে পুলিশের চোখে দাগি দুষ্কৃতী বলেই পরিচিত ছিল আমোদ। তার বিরুদ্ধে খুন সহ একাধিক অভিযোগের রেকর্ড আছে পুলিশি খাতায়। এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে এই আমোদের বাড়িতে অভিযান চালিয়েই হাঁসখালি থানার পুলিশ একটি দেশি আগ্নেয়াস্ত্র সহ ১২ বোরের ৩ রাউণ্ড গুলি উদ্ধার করেছিল।   

কিভাবে তৃণমূল কর্মীকে খুন করা হল ?

পানের নেশা ছিল আমোদের। বাড়ি থেকে বাজার আধ কিমিও নয়। বাড়ি থেকে বাজারে এসে যথারীতি পান কিনেছিল সে। তারপর একটা চায়ের দোকানে গিয়েছিল। মেয়ে সেলিনাকে বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে চা দোকানে ঢুকতে না ঢুকতেই আমোদকে ঘিরে ধরে একদল দুষ্কৃতী। একদম কাছ থেকে একাধিক গুলিতে ঝাঁঝরা করে তাকে মাটিতে লুটিয়ে দিয়েই বাইক নিয়ে দ্রুত চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। দুটি বাইকে মোট ৫ জন দুষ্কৃতী এসেছিল বলে জানান তার মেয়ে। নিহতের পরিবারের সদস্যদের দাবি, এর আগে আমোদকে তিন বার খুন করার চেষ্টা হয়েছিল। ওই তিনবার প্রাণে বাঁচলেও এবার জীবিত অবস্থায় হাসপাতালে যাওয়ার সুযোগটুকুও পায়নি সে। কারা এ খুন করল, কোথা থেকে এসেছিল, সে তদন্ত শুরু করেছে হাঁসখালি থানার পুলিশ।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

Hanskhali

bangla news

Bengali news

Nadia

Murder

tmc worker


আরও খবর


ছবিতে খবর