‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ’ কর্মসূচিতে পুরুষরা পরবেন ধুতি, মহিলারা শাড়ি...
প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৪ ডিসেম্বর ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ’ (Gita) কর্মসূচি। শনিবারই ব্রিগেডে ভূমি পূজন করে মঞ্চ বাঁধার কাজ শুরু হবে। জানা গিয়েছে, দুটি পৃথক মঞ্চ বাঁধা হবে। একটিতে হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, অন্যটি হবে অতিথিদের বসার জন্য। অতিথিদের মঞ্চে দেখা যাবে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, দ্বারকা মঠের বর্তমান শংকরাচার্য স্বামী সদানন্দ সরস্বতী এবং রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে। এর পাশাপাশি অনুষ্ঠান শুরুর আগে একটি শোভাযাত্রা হবে। শোভাযাত্রায় থাকবে কুরুক্ষেত্রর মাটি। মূল অনুষ্ঠান শুরু হচ্ছে নজরুলগীতির মাধ্যমে। সেসময় বেজে উঠবে ৬০ হাজার শঙ্খ।
জানা গিয়েছে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে প্রধানমন্ত্রী মঞ্চে আসবেন বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ। পুরুষদের জন্য নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে ধুতি পোশাক, মহিলারা পরবেন শাড়ি। গীতা পাঠের (Gita) কর্মসূচিতে আমন্ত্রিত রয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও। বৃহস্পতিবার এবিষয়ে অন্যতম উদ্যোক্তা নির্গুণানন্দ ব্রহ্মচারী বলেন, ‘‘আমাদের কর্মসূচির সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক সম্পর্ক নেই। প্রধানমন্ত্রী নিজে থেকেই অনুষ্ঠানে আসতে চেয়েছিলেন। সকলের সঙ্গে গীতাপাঠ (Gita) করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। মুখ্যমন্ত্রী রাজি হলে তাঁকেও যথাযথ সম্মানে স্বাগত জানানো হবে।’’
২৪ ডিসেম্বর ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ’ (Gita) কর্মসূচি শুরু হবে কাজী নজরুল ইসলামের লেখা, ‘‘হে পার্থসারথি! বাজাও বাজাও পাঞ্চজন্য শঙ্খ, চিত্তের অবসাদ দূর কর কর দূর....’’ গানের মাধ্যমে। হঠাৎ এধরনের নজরুল গীতি দিয়ে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ’-এর আয়োজন কি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা দিতেই? এমন প্রশ্ন শুনে আয়োজক কমিটির সভাপতি স্বামী প্রদীপ্তানন্দ মহারাজ গত রবিবার ‘মাধ্যম’-কে বলেন, ‘‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ কর্মসূচি কখনও নির্দিষ্ট ধর্ম বা বর্ণের মধ্যে বেঁধে দেওয়া হয়নি। নেই কোনও রাজনৈতিক বাছবিচারও। ‘গীতা’ জীবন বোধ, তা যেমন মানুষের কী খাওয়া উচিত সেটাও বলে, তেমনি সুশৃঙ্খল জীবন গঠনের উপায়ও শেখায়। নজরুল ইসলামের এই গান আমাদের কাছে বর্তমানে সময়োপযোগী বলে মনে হয়েছে, তাই রাখা। এই গানের প্রতিটি কথা গীতাকে সরল ও সুন্দরভাবে ব্যাখা করেছে।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।