গত দুদিন ধরে বিকালে কালবৈশাখীর ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টিতে ভিজল পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জেলা
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত দুদিন ধরে বিকালে কালবৈশাখীর ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টিতে ভিজল পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জেলা। এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে শুরু হওয়া তাপপ্রবাহে হাঁসফাস অবস্থা হয়েছিল রাজ্যবাসীর। তারপরের কয়েকদিনের বারিধারায় স্বস্তি মিলেছিল বটে কিন্তু পরে আবার বেড়েছিল গরম। একটি আবহাওয়া রিপোর্টে (Weather Update) তো বলা হয়েছিল যে মে মাসেও গরমের অস্বস্তি বাড়তেই থাকবে। ঠিক এই সময়টাতে চাতক পাখির মতো পশ্চিমবঙ্গবাসীও বসে রয়েছে বর্ষার আগমনের অপেক্ষায়। আবহবিদরা ক্যালকুলেশন করে মাপকাঠি স্থির করেছেন, বর্ষা দেশে ঢোকে প্রতি বছরে ১ জুন। এ কথা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে দেশের মধ্যে প্রথম বর্ষা ঢোকে ভারতের কেরল রাজ্যে। কিন্তু মৌসম ভবন (Weather Update) জানাচ্ছে চলতি বছরে বর্ষা ১ জুন নয় দেশে ঢুকবে ৪ জুন অর্থাৎ চার দিন দেরি করছে বর্ষা আসতে। প্রতিবছর জুন মাসে বর্ষা আসার কথা থাকলেও কোন কোন বছর তার হেরফের ঘটে। দেখা যাচ্ছে, বিগত কয়েকবছরে নিয়ম মেনে বর্ষা দেশে ঢুকেছিল ২০২০ সালেই একমাত্র। সে বছর দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর আগমন ঘটে ১ জুন। ২০২১ সালে মৌসুমি বায়ু এসেছিল ৩ জুন। হাওয়া অফিসের রিপোর্ট (Weather Update) অনুযায়ী ২০১৮ সালে নির্ধারিত সময়ের আগে এসেছিল বর্ষা, ২৯ মে। আবার গত বছরেও বর্ষা ঢুকে ছিল দেশে ২৯ মে। ২০১৯ সালে বর্ষা আট দিন দেরিতে ঢুকেছিল, ৮ জুন।
আবহবিদরা বলছেন, পশ্চিমবঙ্গে বর্ষা ঢোকার স্বাভাবিক সময় হচ্ছে ১০ জুন। হাওয়া অফিস (Weather Update) জানাচ্ছে, কেরলে বর্ষা পিছিয়ে যাচ্ছে বলেই যে পশ্চিমবঙ্গে বিলম্ব হবে এমনটা ভাবার কোন কারণ নেই। এখনও পর্যন্ত আবহাওয়া দফতরের যে পূর্বাভাস তাতে দেখা যাচ্ছে, উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়িতে বর্ষা ঢুকছে ৭ জুন, শিলিগুড়িতে ৮ জুন। অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গের সুন্দরবনে বর্ষা ঢোকার দিনক্ষণ নির্ধারণ করেছে হাওয়া অফিস ১০ জুন এবং কলকাতায় বর্ষার ঢুকবে ১১ জুন। যদিও এর পুরোটা নির্ভর করছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তার উপর।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।