Adenovirus: দু'মাসে প্রাণ গেল ১২৯ জন শিশুর...
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যাডিনো ভাইরাসের (Adenovirus) ফলে শিশুমৃত্যুর সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। রাজ্যে ফের তিন শিশুর মৃত্যু হল। এর মধ্যে কলকাতার বিসি রায় হাসপাতালে ভর্তি ছিল দুই শিশু। বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে মৃত্যু হয়েছে এক শিশুর। অন্য শিশুটি মারা যায় সকালে। শিশু দু'টির মৃত্যুর শংসাপত্রে কারণ হিসেবে উল্লেখ রয়েছে নিউমোনিয়ার। শিশু দু'টি অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত ছিল কিনা, এখনও তা জানা যায়নি। কারণ এখনও পর্যন্ত অ্যাডিনো রিপোর্ট আসেনি। আর এক জন মারা গিয়েছে কলকাতা মেডিক্যালে। মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই শিশুরও মৃত্যুর কারণ জানতে নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে খবর, বুধবার রাত পৌনে ১০টা নাগাদ যে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে, তার বয়স এক বছর দু’মাস। বাড়ি ফুলিয়ায়। কৃষ্ণনগর থেকে তাকে কলকাতার মেডিক্যাল কলেজে আনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। শিশুটির নিউমোনিয়া এবং শ্বাসকষ্টের উপসর্গ ছিল (Adenovirus)।
আরও পড়ুন: ক্রিকেটীয় পিচে কূটনৈতিক সম্পর্ক মজবুত করার পথ দেখালেন প্রধানমন্ত্রী মোদি
অন্য দিকে, বিসি রায় হাসপাতালের শিশুটির বয়স ছিল ৯ মাস। তারও জ্বর-সর্দিকাশি ছিল। রাজারহাটের বাসিন্দা এই শিশুটির মৃত্যুর কারণও অ্যাডিনোভাইরাস সংক্রমণ কি না জানা যায়নি। আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গত রবিবার এই শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ফুলবাগান এলাকার বাসিন্দা সে। বয়স ছিল মাত্র ন'মাস। শিশুটির জ্বর এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল। ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে রেখে চলছিল চিকিৎসা। তার ফুসফুসের অবস্থা খারাপ ছিল। ছিল নিউমোনিয়াও। এখনও অ্যাডিনো পরীক্ষার রিপোর্ট আসেনি। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টা নাগাদ মারা যায় শিশুটি (Adenovirus)।
বেসরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই নিয়ে দু'মাসে রাজ্যে মৃত্যু হল ১২৯ জন শিশুর। অ্যাডিনো ভাইরাসের (Adenovirus) আতঙ্কের মধ্যেই হাওড়ার শ্যামপুরের একটি পরিবারের অভিযোগ, ১০ ঘণ্টা কার্যত বিনা চিকিৎসায় পড়েছিল তাদের চার বছরের শিশু। প্রথমে আইসিইউ নেই বলে বন্ডে সই করানো হয়। অভিযোগ, এরপর শিশুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ভর্তি করা হয় আইসিইউ-তে। তাঁরা প্রশ্ন করেন, আইসিইউ খালি থাকা সত্ত্বেও প্রথমে বন্ড সই করানো হল কেন? একইসঙ্গে শিশুর পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালের তরফে থার্মোমিটারও কিনে আনতে বলা হয়। বিসি রায় হাসপাতালের পরিকাঠামো নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে শিশুর পরিবার।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।