হাজারদুয়ারি, ইমামবাড়া, কাটরা মসজিদ, জগৎ শেঠের বাড়ি..ঘুরে আসুন ইতিহাসের শহর
মুর্শিদাবাদের সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় দ্রষ্টব্য হল এই হাজারদুয়ারি। সংগৃহীত ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর মুর্শিদাবাদ (Murshidabad)। প্রায় ৫৪ বছরের নবাবিয়ানার সাক্ষী বাংলা, বিহার, ওড়িশার শেষ স্বাধীন রাজধানী এই মুর্শিদাবাদ। এখানকার সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় দ্রষ্টব্য হল হাজারদুয়ারি। ১৮২৪ থেকে ১৮৩৮ সালে নগদ ১৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই প্রাসাদটি নির্মাণ করেন নবাব নাজিম হুমায়ূন জা। আসল নকল মিলিয়ে প্রাসাদটির ১০০০টি দরজা থাকার জন্য এর নাম হয়েছে হাজারদুয়ারি। প্রাসাদের অভ্যন্তরে রয়েছে সংগ্রহশালা। সেখানে প্রদর্শিত হয়েছে তৎকালীন সময়ের নবাবদের ব্যবহৃত তৈজসপত্র, পোশাক, বিভিন্ন দলিল-দস্তাবেজ। এর আর্ট গ্যালারিতে রয়েছে মার্শাল, টিটো প্রমুখ বিশিষ্ট শিল্পীদের আঁকা অপূর্ব সব ছবি। অস্ত্রাগারে রয়েছে প্রায় ২৯০০০-রও বেশি অস্ত্র।
হাজারদুয়ারির বিপরীতেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বৃহত্তম ইমামবাড়া। ১৮৪৬-এ সিরাজের তৈরি কাঠের ইমামবাড়াটি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বিনষ্ট হলে পরবর্তী কালে এটি নির্মাণ করেন নবাব নাজিম ফেরাদুন জা। হাজারদুয়ারির প্রাঙ্গণেই রয়েছে ঘড়ি মিনার, সিরাজের তৈরি মদিনা, বাচ্চেওয়ালি তোপ নামের বিশাল এক কামান। মুর্শিদাবাদের পরবর্তী আকর্ষণ কাটরা মসজিদ। নবাব মুর্শিদকুলি খাঁ ১৭২৩-২৪ খ্রিষ্টাব্দে এটি নির্মাণ করেন। এখানেই রয়েছে তাঁর সমাধি। পাশেই তোপখানায় জাহানকোষা কামান। এছাড়াও এখানকার অন্যতম দ্রষ্টব্য কাঠগোলা বাগান, মোতিঝিল, জগৎ শেঠের বাড়ি, নসীপুরে দেবী সিং-এর প্রাসাদ (এই তিনটি স্থানেই বর্তমানে সংগ্রহশালা হয়েছে), ভাগীরথী নদীর ওপারে কীরিটকণা গ্রামে গ্রামে রয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের পবিত্র তীর্থস্থান একান্ন সতীপীঠের অন্যতম কিরীটেশ্বরী মন্দির, খোশবাগে নবাব সিরাজউদ্দৌলা, নবাব আলিবর্দী খানের সমাধি, বড়নগরে রানি ভবানীর তৈরি মন্দির প্রভৃতি (Murshidabad)।
যাতায়াত-কলকাতা থেকে হাজারদুয়ারি এক্সপ্রেস, ভাগীরথী এক্সপ্রেস ছাড়াও শিয়ালদা থেকে যাচ্ছে লালগোলা প্যাসেঞ্জার। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) দূরত্ব প্রায় ২১৫ কিমি।
থাকা খাওয়া-হাজারদুয়ারির আশেপাশে থাকাটাই সুবিধার। তাতে বেড়ানোর ঝামেলা এবং খরচ অনেকটাই কমে। এখানে আছে হোটেল হিস্টোরিক্যাল, হোটেল অন্বেষা (দুটিরই ফোন ৯৪৩৪১১৫৪৭০), হোটেল ফ্রেন্ডস এবং হোটেল পাপিয়া (এই দুটির ফোন ৯৭৩২৬০৯০৮৪), হোটেল যাত্রিক (৯৭৩৩৯৭৫০২৪), হোটেল মঞ্জুষা (৯৫৯৩৯৫০৯৭৩) প্রভৃতি। আর ঐতিহাসিক স্থানে ঠিকঠাক ঘোরার প্রয়োজনে দরকার হয় অভিজ্ঞ গাইডের। গাইডের প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন ৯৭৭৫৮৫৬৭০৫, ৯৪৭৫০৬৪৮৮৯ নম্বরে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।