মুর্শিদাবাদ জেলা সভাধিপতির বিরুদ্ধে বিরাট আর্থির দুর্নীতির অভিযোগ…
সভাধিপতি রুবিয়া সুলতানা। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা পরিষদের বাজেট অধিবেশনে, তৃণমূলের জেলা পরিষদের সভাধিপতি রুবিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে গাড়ির ডিজেল খরচে লাগাম ছাড়া হিসাব দেখিয়ে কারচুপি করেছেন বলে অভিযোগে সরব হয়েছেন দলেরই জেলা পরিষদের প্রাক্তন সহকারী সভাপতি তথা জেলা পরিষদের সদস্য শাহনাজ বেগম। একই সঙ্গে আরও অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, "সভাধিপতি কলকাতার নামী দামি হোটেলে মোটা অঙ্কের টাকা মিটিয়েছেন জেলা পরিষদের তহবিল থেকেই।" ফলে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে তৃণমূল সদস্যের আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে জেলায়। তৃণমূলে দলের অন্দরেই অস্বস্তির ছায়া ফের একবার স্পষ্ট।
মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা পরিষদের সদস্য শাহনাজ বগেম, রুবিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, “জেলা পরিষদের সভাধিপতি গত অক্টোবর মাসে ২২০৯ লিটার, নভেম্বর মাসে ১৮১৫ লিটার, ডিসেম্বর মাসে ১৯১০ লিটার ডিজেল নিজের গাড়ির জন্য ব্যবহার করেছেন। এতো ডিজেল কোথায় ব্যবহার করলেন? আবার ২১ অক্টোবর ৬৬৮২০ টাকা, ১৭ নভেম্বর ৫৩৩২০ টাকা এবং ১৬ ডিসেম্বর ৩৫৮৪০ টাকা কলকাতার হোটেলে খরচ করেছেন। অথচ সেখানে সার্কিট হাউসে থাকা যায়। এত অতরিক্ত খরচ কেন? আমি জানতে চাইবো, এটা ঠিক না ভুল! ভুল হলে আমি খুশি হবো। জেলা পরিষদের অঙ্গ হিসাবে জানতে চাই আমি।”
জেলার (Murshidabad) সভাধিপতি রুবিয়া সুলতানা বলেন, “কোনও সদস্য আক্ষেপ করতেই পারেন। অভিযোগের যুক্তি খতিয়ে দেখতে হবে। দায়িত্ব পেল যেমন পক্ষে কথা ওঠে, তেমনি বিপক্ষেও কথা ওঠে। তবে এই সব বিষয়কে আমি গুরুত্ব দিই না। আপনাদের বিষয়টি ভেবে দেখা উচিত।” জেলার আরেক তৃণমূল নেতা বলেছেন, “অভিযোগকারী সভাধিপতি হতে পারেননি, তাই নিজের রাগ এবং ঝাল মেটাতে এই অভিযোগ তুলেছে।”
মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা যুব কংগ্রেসের সভাপতি তথা জেলা পরিষদের সদস্য তৌহিদুর রহমান সুমন বলেন, “জেলা পরিষদের সদস্য যে অভিযোগ তুলেছেন, তা মারাত্মক বড় ধরনের দুর্নীতি। আমরা চাই সকল দুর্নীতির সঠিক তদন্ত হোক। সরকারি টাকার অপচয় হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে শাস্তি চাইবো।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।