diabetes: নদিয়ার ৭৪ বছরের বৃদ্ধের কর্মকাণ্ড দেখে হতবাক এলাকাবাসী...
নিতাই প্রামাণিক (নিজস্ব চিত্র)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধুমেহ হল মধুময়। নিজের ডায়াবেটিস ধরা পড়ার সুবর্ণ জয়ন্তীতে এলাহি আয়োজন করলেন নদিয়ার (Nadia) পলাশীপাড়া থানার পলশন্ডা গ্রামের ৭৪ বছরের নিতাই প্রামাণিক। পেশায় তিনি গৃহশিক্ষক। বিয়ে করেননি। পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে তিনি থাকেন। প্রায় ৫০ বছর ধরে মধুমেহ রোগ বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। আর এই রোগের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যেই তিনি মহাভোজের আয়োজন করেছেন। আর গৃহশিক্ষকের এই উদ্যোগ দেখে হতবাক সকলে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর যখন ২৪ তখনই সুগার (Nadia) ধরা পড়ে তাঁর। তারপর থেকেই ক্রমাগত ইনসুলিন এবং ওষুধের ওপর থাকতে হয় তাঁকে। মনে চাইলেও ভালো-মন্দ খেতে পারেন না। আর তাই তাঁর ইচ্ছা ছিল, নিজে যখন খেতে পারেন না, অন্যান্যদের বছরের প্রথমেই বাড়িতে পাত পেড়ে খাওয়াবেন। তাঁর আমন্ত্রণে অসংখ্য ডায়াবেটিস রোগীসহ অনান্যরা সাড়া দেন। হাজির হন তাঁর বাড়িতে। শুধু এলাকার লোকই নয়, দূরদূরান্ত থেকে অসংখ্য লোক এসেছিলেন। তাঁরা বলেন, রোগের ৫০ বছর উপলক্ষে এই ধরনের ভোজনের আয়োজন আগে কেউ করেছে বলে জানা নেই। এটা রেকর্ড হয়ে থাকবে। এই ধরনের ঘটনার আমরা সাক্ষী হতে পেরে খুবই খুশি। জানা গিয়েছে, নিতাইবাবুর মেনুতে ছিল ডিমের ডেভিল, মটরশুঁটির কচুরি, ছোলার ডাল, ফ্রায়েড রাইস, পনির, চিংড়ি দিয়ে ফুলকপির তরকারি, চাটনি, দই, রসগোল্লা, কমলাভোগ।
আরও পড়ুন: শীতের সকালে তিব্বতে জোরালো ভূমিকম্প! তীব্রতা ৭.১, কেঁপে উঠল কাঠমান্ডু থেকে কলকাতা
এমন এক কঠিন ব্যাধি নিয়েও যে অর্ধশতবর্ষ অতিক্রম করা যায় তার জ্বলন্ত প্রমাণ নিতাইবাবু (Nadia) নিজে। আর সেই ইচ্ছেতেই তিনি এমন আয়োজন করেছেন। শুধু সুস্থ মানুষরাই নয় অসংখ্য ডায়াবেটিস রোগীরাও কব্জি ডুবিয়ে খেলেন। নিতাইবাবু বলেন, “আসলে ৫০ বছর ধরে আমি সুগারের রোগী। এই রোগকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। নিয়মিত ব্যায়াম আর খাওয়া-দাওয়া নিয়ন্ত্রণ করলে এই রোগ কিছুই করতে পারবে না। এই বার্তা দিতেই আমি এই আয়োজন করেছিলাম। নতুন বছরের শুরুতে সকলে মিলে একসঙ্গে খেতে পেরেও আমার ভালো লাগছে। আমি সারাদিনে ১২০ গ্রাম চালের ভাত খাই। আর তিন ঘণ্টার বেশি পেট খালি রাখি না। নিয়ম মেনে চললে সুগার নিয়ে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকা সম্ভব। আমি নিজেই তার জ্বলন্ত প্রমাণ।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।