নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে…
বিজেপি কর্মী রবীন হালদার। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভার ভোট। এই রাজ্যে বিজেপি ২০টি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিয়েছে। কিন্তু পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম (Nandigram), ভোটের আগেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল। বিজেপি কর্মীদের উপর তৃণমূল দুষ্কৃতীদের ব্যাপক হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। বিজেপি কর্মীদের জোর করে ভয় দেখিয়ে বাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আবার একই ভাবে বিজেপি করার জন্য বাড়িতে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগে সরব হয়েছেন বিজেপি কর্মীরা।
নন্দীগ্রামের (Nandigram) কেশবপুরের বাসিন্দা রবীন হালদার তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, “পুলিশের সঙ্গে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বাড়িতে ঢুকে হামলা করে। ভোর ৩ টে থেকে ৪ টের সময় আমার বাড়িতে ঢুকে দরজায় ধাক্কা দেয়। এরপর দরজা খুলতে বলা হয়। কিন্তু দরজা না খোলায় দরজা ভাঙার চেষ্টা করা হয়। এরপর দুষ্কৃতীরা আমাকে টেনে ঘর থেকে বাইরে বের করে রাস্তায় নিয়ে যায়। ব্যাপক মারধর করা হয়। প্রায় ৩০-৩৫ জন লোক এসে হামলা করেছিল। সারা সময় ধরে তাণ্ডব চালায় ওরা। আমরা কেবলমাত্র বিজেপি করি বলে আমাদের উপর এই ভাবে অত্যাচার করা হয়। আমাদের আর কোনও দোষ নেই।”
জেলার (Purba Medinipur) বিজেপি কর্মী তথা রাজ্য কমিটির সদস্য সাহেব দাস বলেন, “এই অভিযোগ একেবারে সত্য। নন্দীগ্রামে (Nandigram) বিজেপি সম্পর্কে অপপ্রচার করে তৃণমূলের হার্মাদেরা বাড়িতে ঢুকে অত্যাচার করছে। এমনকী বাড়ির এক সদস্যকে তুলে নিয়ে চলে গিয়েছে গুন্ডারা। তৃণমূলের এই দুষ্কৃতীদের প্রত্যক্ষ মদত দিচ্ছে পুলিশ।”
এলাকার (Nandigram) তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান বলেন, “বিজেপি সব সময় মিথ্যাচার করে। বাংলার তৃণমূল কর্মীদের কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তৃণমূলের কর্মীদের মেরে মাথা ফাটানো হয়েছে, আমরা অভিযোগ দায়ের করেছি। পুলিশের কাজ পুলিশ করছে।” উল্লেখ্য নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের গোকুলনগর উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল গতকাল রাতে। মহেশপুরে এক পথসভাকে ঘিরে বৃন্দাবনচকের কাছে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এরপর থেকেই বিজেপি কর্মীদের টার্গেট করে তৃণমূলের দুস্কৃতীরা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।