নরেন্দ্রপুরের সেই ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের ময়না তদন্তে মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য, কী তা জানেন?
মৃত অপ্রতিম দাস ( বাঁদিকে), মা বর্ণালী দাস (ডানদিকে) (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) নরেন্দ্রপুরের ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র অপ্রতিম দাসের রহস্যমৃত্যুর কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। তবে, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিশের হাতে এসেছে। এমনিতেই ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পর তাঁর মা ছেলেকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করেন। অপ্রতিমের বাবা সেই খুন করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তার পাল্টা অপ্রতিমের বাবা এই খুনের জন্য নিজের স্ত্রীকে দায়ী করেছেন। এরমধ্যে ময়না তদন্তের রিপোর্ট পুলিশের হাতে আসায় তদন্ত অনেকটাই গতি পাবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) নরেন্দ্রপুরের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট পেয়েছে পুলিশ। রিপোর্ট অনুযায়ী, তাঁর লিভারে মদের নমুনা পাওয়া গিয়েছে। দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। পাশাপাশি, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রের প্যান্টের পকেটে একটি কন্ডোমের প্যাকেট মিলেছে। তদন্তকারীদের একটি সূত্রে খবর, মৃত অপ্রতিম দাস মত্ত অবস্থায় জলাশয়ে পড়ে গিয়ে থাকতে পারেন। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করেছে, শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে যুবকের। জলে ডুবেই অপ্রতিমের মৃত্যু হয়েছে। তিনি জলাশয়ে কোনও ভাবে পড়ে গিয়ে থাকতে পারেন। আবার কেউ ঠেলেও ফেলে দিতে পারেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অপ্রতিমের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহামায়াতলা এলাকায়। ফরতাবাদে তাঁর মামার বাড়ি। মামার বাড়ির পাশেই একটি ক্লাব বিয়েবাড়ি হিসেবে ভাড়া দেওয়া হয়। ৩০ জানুয়ারি সেখানে একটি বিয়ে অনুষ্ঠান ছিল। ওই বিয়ে বাড়িতে নিমন্ত্রিত ছিলেন অপ্রতিম। সেই উপলক্ষে মামার বাড়িতে এসেছিলেন তিনি। রাতে বিয়ে বাড়িতে গিয়ে খেতেও বসেন। কিন্তু, খেতে খেতেই উঠে যান। এর পর থেকেই তাঁর খোঁজ মিলছিল না। রবিবার দুপুরে নরেন্দ্রপুরের ঢালিপাড়া এলাকার একটি পুকুরে তাঁর দেহ ভাসতে দেখেন কয়েক জন। প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশ জানিয়েছেন, শৌচাগারে যাওয়ার কথা বলে উঠে যান ওই ছাত্র। কেউ আবার জানান, ফোনে মেসেজ পেয়েই উঠে যান তিনি। রাতেই নরেন্দ্রপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন অপ্রতিমের পরিবারের সদস্যেরা। পরিবার সূত্রে খবর, অপ্রতিমের বাবা সুমন দাস ও বর্ণালী দাসের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে অশান্তি চলছিল। তার জেরেই অপ্রতিম খুন হয়ে থাকতে পারেন বলেই মনে করছেন পরিবারের অনেকে। এর মধ্যে বর্ণালী ও অপ্রতিমের দিদিমা দাবি, বাবা সুমনই ছেলেকে খুন করেছেন। সুমনের একাধিক বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলেও দাবি তাঁর।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।