Nabanna Abhijan: নবান্ন অভিযানে পুলিশি হামলা নিয়ে রাজ্যকে তুলোধনা করলেন রাজ্যপাল
নবান্ন অভিযানে জাতীয় পতাকার অবমাননা নিয়ে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সরব রাজ্যপাল (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযানে (Nabanna Abhijan) পুলিশের হামলা নিয়ে রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে থাকা আন্দোলনকারীদের ওপর কীভাবে আক্রমণ চালাল পুলিশ? এতে জাতীয় পতাকাকে অপমান করা হয়েছে বলে জানান তিনি। রাজ্যপালের মতে, কলকাতার রাস্তায় যা হয়েছে, তা গণতান্ত্রিক ভাবে জয়ী সরকারের কাছ থেকে আশা করা যায় না। এই প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণের কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণের প্রসঙ্গ তুলে তিনি জানান, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি এক ভিডিও বার্তায় রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচিত সরকার থেকে এটা প্রত্যাশা ছিল না। নিরীহ প্রতিবাদীরা সম্ভবত কোনও রাজনৈতিক দলের ছিলেন না। তাঁদের হাতে জাতীয় পতাকা ছিল। কিন্তু, তাঁদের ওপর আক্রমণ চালাল পুলিশ। 'উই ওয়ান জাস্টিস' স্লোগানে মুখরিত প্রতিবাদকারীদের জলকামান দ্বারা আঘাত করা হয়েছে। লাঠিপেটা করা হয়েছে পুলিশ দ্বারা। তাঁদের হাতে ভারতের জাতীয় পতাকা ছিল। জল কামান চালিয়ে জাতীয় পতাকা ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। রক্তাক্ত হয়েছেন প্রতিবাদীরা। জাতীয় পতাকার অবমাননা করা হয়েছে। জাতীয় সম্মানকে অপমান করা হয়েছে। এটা শেষের শুরু। তা-ই হওয়া উচিত। বিদায় হিংসা, খুন। বাংলা হিংসামুক্ত হওয়া উচিত। এখানে সরকার অপরাধীদের রক্ষা করছে। এই খুনের খেলা বন্ধ হোক।”
আরও পড়ুন: বিজেপির ডাকা বন্ধে জেলায় জেলায় অবরোধ, সমর্থক-পুলিশ ধস্তাধস্তি
রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) বলেন, “নির্যাতিতার বিচার চেয়ে মানুষ কী পেল? লাঠিচার্জ, মারধর, কাঁদানে গ্যাস, জলকামান! মনে রাখতে হবে, বিচার চেয়ে এই দাবি উঠে এসেছে কবিগুরুর বাংলায়। অথচ রবীন্দ্রনাথের বাংলায় তিনি নিজেই বলেছিলেন, 'চিত্ত যেথা ভয়শূন্য উচ্চ যেথা শির।' নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু দিল্লি চলো ডাক দিয়েছিলেন। আর আজকে নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে নবান্ন চলো ডাক দিয়েছিলেন নিরীহ আন্দোলনকারীরা। কিন্তু, তাঁদের ওপরে আক্রমণ চালানো হল। খুন, ধর্ষণ, অন্যায়, অত্যাচার, অবিচার সমস্তটাই বন্ধ করতে হবে। বাংলাকে অন্যায় অত্যাচার খুন, ধর্ষণ মুক্ত হতে হবে। এই নৃশংসতা ধ্বংসের খেলা বন্ধ করতে হবে। বিচারের দাবিতে, মানুষ সরব হয়েছেন। মানুষকে বিচার দিতেই হবে। বিচার পাওয়া মানুষের জন্মগত অধিকার। মনে রাখবেন সত্য এবং অপরাধ চিরদিন চাপা রাখা যায় না। একদিন না একদিন প্রকাশ পাবেই। ঠিক তেমনি আরজি করে নির্যাতিতাও বিচার পাবেন। আমরা এই পরিবেশ থেকে দ্রুত কাটিয়ে উঠতে পারব।”
'দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।