বেলডাঙা বোমা বিস্ফোরণকাণ্ডে এনআইএ কোন ধারা যুক্ত করল জানেন?
এনআইএ-র প্রতিনিধি দল (ফাইল ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় দেড়় বছর আগে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বোমা বিস্ফোরণকাণ্ডে ‘আন ল ফুল অ্যাক্টিভিটিস প্রিভেশন অ্যাক্ট' অর্থাৎ ইউএপিএ যুক্ত করল এনআইএ (NIA)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকদের দাবি, ঘটনাস্থল থেকে এমন কিছু জিনিস উদ্ধার হয়েছে, যা সাধারণত মিলিটারি গ্রেনেডের মতো। সাধারণ বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় যা মূলত উদ্ধার হয় না।
এনআইএ ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের ১৭ জানুয়ারি বেলডাঙা থানার রামেশ্বরপুর গ্রামে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় একটি বাগানে ছোট পাম্পের ঘরে এই বিস্ফোরণ হয়েছিল। বিস্ফোরণে উড়ে যায় গোটা ঘরটি। ইয়াসউদ্দিন শেখ ওরফে ছাদি শেখ নামে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয় ঘটনাস্থল থেকেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফে অভিযোগ করা হয়, ওই পাম্পের ঘরে বোমা বাঁধার কাজ চলছিল। প্রথমে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে রাজ্য পুলিশ। ঘটনাস্থলে যান ফরেন্সিক আধিকারিকরা। ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে এই ঘটনার গুরুত্ব বুঝে তদন্তভার হাতে নেয় এনআইএ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে তদন্ত শুরু করে এনআইএ (NIA)। আবারও ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান এনআইএ আধিকারিকরা। তবে ততদিনে ৯ মাস পেরিয়ে গিয়েছে। তদন্তে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৭৪ টি গ্রেনেড উদ্ধার করেছিল। সেই রিপোর্ট পুলিশ এনআইএ-এর হাতে তুলে দেয়। মামলার গুরুত্ব অনেকটাই বেড়ে যায়। কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবরেটরির রিপোর্টের ভিত্তিতে ইউএপিএ-র আবেদন করা হয়। কারণ, সাধারণ বোমা তৈরির ক্ষেত্রে এই ধরনের জিনিস ব্যবহার করা হয় না। কী কারণে সেখানে এই ধরনের শক্তিশালী বোমা তৈরি করা হচ্ছিল তার সূত্র খোঁজার চেষ্টা করছে এনআইএ।
আদালতে এনআইএ (NIA) জানায়, পাইপ বোমা বা বোমাতে লোহার টুকরো যা ব্যাবহার করা হয়েছে, তা সাধারণত মিলিটারি গ্রেনেডের মতো। ঘটনায় যারা গ্রেফতার হয়েছে এবং যারা জামিনে রয়েছে, তাদের জামিন বাতিল করার আবেদন জানানো হয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।