Darivit Moyna murde case: দাড়িভিট-ময়না হত্যাকাণ্ডে এনআইএ-র পদক্ষপে আরও বিপাকে পুলিশ-সিআইডি!
প্রতীকী চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দাড়িভিট ও ময়নাহত্যাকাণ্ড ঘটনার তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে এফআইআর দায়ের করল কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ (NIA Investigation)। রাজ্য পুলিশ এবং সিআইডি তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় নথি দিক, ঠিক এমনটাই দাবি করে আদালতে আবেদন করেছে এনআইএ। দেশের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার স্বার্থে এই দুই জায়গার ঘটনার তদন্ত একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করেছে এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই পদক্ষেপের ঘটনায় রাজ্য পুলিশ এবং রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থার উপর অনেকটাই চাপ বাড়ল বলে মনে করেছে ওয়াকিবহল মহল। বিজেপি অবশ্য প্রথম থেকেই রাজ্যের তদন্তে খুশি নয় বলে জানিয়েছিল।
২০১৮ সালে দাড়িভিট হত্যাকাণ্ড হয় (NIA Investigation)
উত্তর দিনাজপুরে দাড়িভিটে এবং পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার ঘটনায় রাজ্য পুলিশ এবং সিআইডি প্রথমে তদন্ত শুরু করেছিল। ঘটনায় মোট ১৪ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। ২০১৮ সালে ২০ সেপ্টেম্বর উর্দু শিক্ষক নিয়োগকে ঘিরে দুই জন ছাত্র পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। আবার ২০২৩ সালে ময়নায় বিজেপির বুথ সভাপতিকে অপহরণ করে খুনের ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-কে (NIA Investigation)। ঘটনার আগের তদন্তের সকল নথি পেতে তদন্তকারী সংস্থা এই এফআইআর করেছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যে তৃতীয় দফা নির্বাচনে ফের প্রচারে ঝড় তুলতে আসছেন অমিত শাহ
বিজেপির দাবি
এই দুই জায়গার ঘটনার বিষয়ে তৃণমূলের দিকে নিশানা করে বার বার সরব হয়েছে বিজেপি। ইতিমধ্যে লোকসভার ভোটের মধ্যেই এনআইএ-র ভূমিকা নতুন করে শোরগোল ফেলেছে রাজ্য রাজনীতিতে। দুটি ঘটনায় দেশের নিরাপত্তার প্রসঙ্গ একান্ত ভাবে জড়িত বলে মনে করে তদন্তকারী সংস্থা। আর তাই এই বিষয়কে নিয়ে তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করতে চায় তাঁরা। গতবছর ১০ মে কলকাতা হাইকোর্ট দাড়িভিট হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ভার দেওয়া হয়েছিল এনআইএ-কে। কিন্তু এক বছর হতে চলল পুলিশ কোনও রকম তদন্তে সহযোগিতা করেনি বলে অভিযোগ তুলেছে এনআইএ (NIA Investigation)। কিন্তু রাজ্য সরকার প্রথম থেকেই বিরোধিতা করে আসছিল এনআইএ তদন্তের। ফলে আগামী দিনে তদন্ত কোন পথে এগিয়ে যায় তাই এখন দেখার।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।