মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৯ জন শিশুর মৃত্যুতে উদ্বেগ, রিপোর্ট তলব
মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। একসঙ্গে এতগুলো নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মৃতের পরিবারের লোকজনের দাবি, এই ঘটনার তদন্ত করার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ, হাসপাতালের গাফিলতির কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত শিশুদের বেশিরভাগ শিশুকেই জঙ্গিপুর হাসপাতাল থেকে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। জঙ্গিপুর হাসপাতালের এসএনসিইউ ওয়ার্ড খারাপ থাকার কারণে শেষ মুহূর্তে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে দীর্ঘ এক মাস ধরে সংস্কারের কাজ চলছে। তার ফলে যে-সমস্ত নবজাতক অসুস্থ হয়ে পড়ছে, তাদের জঙ্গিপুর থেকে ভর্তি হচ্ছে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) মেডিক্যাল কলেজ স্কুলে ও হাসপাতালে। এছাড়া ডোমকল বা লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে থাকা নবজাতকদের অবস্থা খারাপ হলে তাদেরও পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে মুর্শিদাবাদ হাসপাতালে। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অনেক প্রসূতি চিকিৎসা বা প্রসব না করিয়ে ব্যাঙের দিতে ছাতার মতো যত্রতত্র গজিয়ে-ওঠা নার্সিংহোমে শিশু প্রসব করানো হচ্ছে। সেই সমস্ত নার্সিংহোমে চিকিৎসকরা অপারেশন করে দেওয়ার পরে সন্তানের শারীরিক অবস্থা খারাপ হলেই মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নবজাতকদের নিয়ে আসতে হচ্ছে চিকিৎসা করানোর জন্য। ঘটনা হল, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ওপর নির্ভর করেন এই জেলা-সহ পার্শ্ববর্তী জেলার মানুষ। মোট ৫২টি আসন আছে নবজাতক বিভাগে। কিন্তু সেখানে বর্তমানে ১০০-র বেশি নবজাতক ভর্তি আছে। সবমিলিয়ে চাপ বাড়ছে হাসপাতালের ওপর। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ৫ জন শিশুর মৃত্যু হলে সেটিকে স্বাভাবিক ধরা হয়। কিন্তু এর বেশি শিশুর মৃত্যু হতেই উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। গাফিলতির কোনও ঘটনা ঘটেছে কি না তা খতিয়ে দেখতে জেলা স্বাস্থ্য দফতর মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে।
হাসপাতালের এমএসভিপি ডা. অমিতকুমার দাঁ বলেন, '৩০০ গ্রাম ও ৫০০ গ্রাম ওজনের শিশু ভর্তি ছিল। একজন শিশুর জন্মগত ত্রুটি ছিল হার্টের। তাই তাকে বাঁচানো যায়নি। গত ২৪ ঘণ্টায় সদ্যোজাতের মৃত্যু হয়েছে। জন্মগত ত্রুটি ও ওজন কমে যাওয়ার কারণে অনেক শিশুর মৃত্যু হচ্ছে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।'
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।