এখনও আমন্ত্রণ পত্র ছাপাতে পারিনি। কাউকে সরকারিভাবে জানাতেও পারছি না। যদি নতুন রাজ্যপাল আসেন তা হলে তিনিই অনুষ্ঠানের মধ্যমণি হবেন।
কলকাতা রাজভবন
মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়(jagdeep dhankhar) হয়ে গিয়েছেন উপরাষ্ট্রপতি। রাজ্যভবনের স্থায়ী মালিকানা নেই কারও হাতে। এমন পরিস্থিতিতে স্বাধীনতার ৭৫ বছরে এবার রাজভবনে ১৫ অগস্ট কি আনুষ্ঠানিক চা-চক্র বা অ্যাট হোম(AT HOME)-র আসর বসবে না? নাকি অমৃত মহোৎসব পালনের আগেই রাজ্যে চলে আসতে পারেন নতুন রাজ্যপাল। এই দুই সম্ভাবনার মাঝেই রাজভবন সরকারি আমন্ত্রণ পত্র ছাপতে পারছে না।কারণ, রাজ্যপাল ছাড়া কখনও অ্যাট হোমের অনুষ্ঠান হতে পারে না। তিনিই সেই চা-চক্রের আসরের মূল হোতা। ফলে স্বাধীনতার ৭৫ বছরে কলকাতা রাজভবনে চা-চক্র বসবে কি না, তা নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
রাজভবনের এক কর্তার কথায়, আমরা এখনও আমন্ত্রণ পত্র ছাপাতে পারিনি। কাউকে সরকারিভাবে জানাতেও পারছি না। যদি নতুন রাজ্যপাল আসেন তা হলে তিনিই অনুষ্ঠানের মধ্যমণি হবেন। মনিপুরের রাজ্যপাল লা গণেশন সেদিন ইম্ফল ছেড়ে কলকাতা আসতে পারবেন এমন নিশ্চয়তা নেই। ফলে জটিলতা বেড়েই চলেছে।
সরকারি সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজির ডাকা আজাদি কি অমৃত মহোৎসবের বৈঠকে যোগ দিতে রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত রাজ্যপাল লা গণেশন দিল্লি গিয়েছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের স্বাধীনতার উৎসব সংক্রান্ত যাবতীয় রিপোর্ট তিনিই প্রধানমন্ত্রীর সামনে পেশ করেন। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শ্রোতা ছিলেন মাত্র। দিল্লি থেকে গণেশন (Ganeshan) মনিপুর ফিরে গিয়েছেন। তিনি আজ মঙ্গলবার কলকাতা ফিরতে পারেন। তারপরই ঠিক হবে আদৌ ৭৫ বছরের স্বাধীনতা দিবসে অ্যাট হোম অনুষ্ঠান হবে কি না।
কৃষক-পুত্র জগদীপ ধনখড়কে শুভেচ্ছা নরেন্দ্র মোদি সহ অন্যান্য নেতা-নেত্রীদের
রাজভবন সূত্রের দাবি, গণেশন মনিপুরের রাজ্যপাল। এখানে তিনি অতিরিক্ত দায়িত্ব নিয়ে রয়েছেন।ফলে ইম্ফলের রাজভবনের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান এবং চা-চক্রে তাঁকে হাজির হতেই হবে। আবার রাজ্যপাল ছাড়া এই অনুষ্ঠান হয় না। ফলে তিনি কলকাতায় থাকবেন কি করে?
গত দুবছর কোভিডের কারণে অবশ্য এই অনুষ্ঠান হয়নি। গণেশন সকালে মনিপুরের অনুষ্ঠান করে বিকালে কলকাতায় এসে চা-চক্রে যোগ দিতে পারেন। আবার করোনার প্রকোপ যে ভাবে বাড়ছে সেই কারণে অনুষ্ঠান বাতিলও হতে পারে।
বিরোধীদের তোপ দাগলেন 'হেরো' মার্গারেট আলভা, কী বললেন জানেন?
সর্বোপরি ১৫ অগস্টের মধ্যে নতুন রাজ্যপাল নিয়োগ হয়ে গেলে সব সমস্যার সমাধানই হয়ে যেতে পারে। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল কে হবেন, তা নিয়ে চর্চা অব্যাহত। প্রশাসনিক মহলে দিল্লি পুলিশের সদ্য প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাকেশ আস্তানার নাম নিয়েও কানাঘুঁষো চলছে। তবে জগদীপ ধনখড়ের ফেলে আসা পদাঙ্ক অনুসরণ করতে পারবেন, এমন কারও খোঁজ চলছে।স্বাধীনতা দিবসের আগে নতুন রাজ্যপাল নিয়োগ তাই একপ্রকার অসম্ভব। ফলে স্বাধীনতার ৭৫ বছরে রাজভবনের চা-চক্র এখন অনিশ্চয়তার সুতোয় ঝুলছে।