Trinamool Congress: হিঙ্গলগঞ্জে ৪০ লক্ষ টাকার লঞ্চ পাঁচ বছরেও চালু হল না, কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা?
এভাবেই পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে লঞ্চ (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাত্রীদের পারাপারে সুরক্ষা দিতেই উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) হিঙ্গলগঞ্জে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকায় কেনা হয়েছিল লঞ্চ। কিন্তু, যাত্রী পরিষেবায় তা ব্যবহার করা হয়নি। গত পাঁচ বছর ধরেই সেই লঞ্চ পড়ে পড়ে নষ্ট হতে বসেছে। সরকারি অর্থের এমন 'অপচয়' নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা তৃণমূল (Trinamool Congress) সরকারকে তুলোধনা করেছেন। তৃণমূল সরকারের এই ভূমিকায় ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষও।
হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের (North 24 Parganas) নেবুখালি ও দুলদুলি জেটিঘাটের মধ্যে যাত্রী পারাপারের জন্য লঞ্চ পরিষেবা চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। নৌকো করে ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার বন্ধ করার কথা ভাবা হয়েছিল। সেই মতো ২০১৯ সালের শেষ দিকে রাজ্যের পরিবহণ দফতরের পক্ষ থেকে একটি লঞ্চ পাঠানো হয় হিঙ্গলগঞ্জে। কিন্তু, পাঁচ বছর হতে চলল এক দিনও ওই লঞ্চ যাত্রী পারাপারের কাজে লাগানো হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে হিঙ্গলগঞ্জ বিডিও অফিসের পাশের খালে রাখা রয়েছে লঞ্চটি। সেখানে পড়ে থেকে পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছে লঞ্চটি। লঞ্চের বেশিরভাগ অংশ ভেঙে গিয়েছে। নদীতে জোয়ার হলে অর্ধেকের বেশি অংশ জলে ডুবে থাকে। ভাঙাচোরা লঞ্চের ভিতরে পলি জমে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এই ভাবে ৪০ লক্ষ টাকা জলে দেওয়ার কোনও মানে হয় না। এই লঞ্চ যখন কাজে লাগল না, তখন অন্য এলাকার জন্য বরাদ্দ করে দেওয়া দরকার ছিল। তাহলে আর ৪০ লক্ষ টাকা জলে যেত না।
আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি অনুপ্রবেশ রুখতে অভিযান সেনার, জখম এক জওয়ান
লঞ্চ যখন আনা হয়, সে সময়ে হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের সহ সভাপতি ছিলেন সুদীপ মণ্ডল। বর্তমানে তিনি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ। তিনি বলেন, "দুলদুলির দিকে ভাসমান জেটিঘাট থাকলেও নেবুখালির দিকে ভাসমান জেটিঘাট আজও হয়নি। এই লঞ্চ ভাসমান জেটিঘাট ছাড়া ব্যবহার করা যায় না। তাই রক্ষণাবেক্ষণ করাও সম্ভব হয়নি।"
বিজেপি নেতা গোবিন্দ অধিকারী বলেন, "তৃণমূল (Trinamool Congress) দুর্নীতি, স্বজনপোষণ ও ব্যক্তিস্বার্থ ছাড়া কিছু বোঝে না। লঞ্চ হলে নেবুখালি-দুলদুলির মধ্যে নদী পারাপার অনেক বেশি আরামপ্রদ ও নিরাপদ হত। কিন্তু এই সরকার সুন্দরবনের প্রান্তিক মানুষের কথা ভাবে না। সরকারি সম্পত্তি যারা নষ্ট করল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।