Electricity: গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি, গরমে আত্মীয়রা রাত কাটান না! বাংলাতেই রয়েছে এই গ্রাম...
বিদ্যুৎ নেই গ্রামে মোমবাতিই সম্বল বেড়াচাঁপায়। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই! প্রচণ্ড গরমে হাতপাখাই সম্বল। আলো নেই, তাই ভরসা একমাত্র লণ্ঠনই। রাতের বেলায় এলাকার মানুষ ঘরে ঘুমোতে পারেন না। বাইরে চাতালে শুতে হয়। সেই সঙ্গে অন্ধকারে সাপের আনাগোনা চলে। গ্রামে বিদ্যুৎ নেই বলে আত্মীয়রাও থাকতে চান না। এমনকী বিয়ে হয়ে যাওয়া মেয়েদের বাপের বাড়িতে আসতে পর্যন্ত দেন না শ্বশুর বাড়ির লোকজন। একবিংশ শতকে এমন একটি গ্রাম এই পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে ভাবতেও অবাক লাগে। হ্যাঁ এই গ্রামটি পাণ্ডববর্জিত কোনও গ্রাম নয়, সমুদ্রের মাঝে দ্বীপ বা পাহাড়ের উঁচুতে কোনও জায়গা নয়, কলকাতার নিকটবর্তী বারসতের (North 24 Parganas) কাছেই বেড়াচাঁপার এক নম্বর পঞ্চায়েতের মির্জানগরের সর্দারপাড়া গ্রাম। এখানে ত্রিশটির বেশি পরিবার বসবাস করেন।
এলাকার মানুষ অভিযোগের সুরে বলেছেন, “আমাদের গ্রামের (North 24 Parganas) পাশেই ২০০ মিটারের মধ্যে রয়েছে বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মার। পাশেই রয়েছে বিদ্যুৎ (Electricity) অফিস। তবুও গ্রাম আঁধারে ডুবে রয়েছে। আমরা বারবার একাধিক দফতরে অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি। এই সর্দারপাড়ার চারিদিকে রয়েছে চাষের জমি। জমির একাধিক মালিক নিজের জমিতে বিদ্যুতের খুঁটি বসুক চান না। ফলে সন্ধ্যের সময় আশেপাশের গ্রামে আলোকিত হলেও এই গ্রামে যেন প্রদীপের নিচে অন্ধকার হয়ে আছে।”
আবার বাসন্তী মুণ্ডা নামে এক মহিলা বলেছেন, “ভোট এলে নেতারা পরিশ্রুতি দিয়ে যান, কিন্তু ভোট হয়ে গেলে আমাদের সেই আগের অবস্থায় ফিরে যেতে হয়। সন্ধ্যের পর থেকেই গ্রামে (North 24 Parganas) লম্ফ, হ্যারিকেন, লণ্ঠন, মোমবাতি জ্বালাতে হয়। এখানে বুঝতেই পারিনা স্বাধীন দেশে রয়েছি কিনা।” আবার রীতা কাহার বলেছেন, “আমার দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। জামাই বা শ্বশুরবাড়ির অন্য কেউ আসতে চায় না। মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন সকালে আসলে বিকেলেই বাড়ি ফিরে যান। খুবই লজ্জার।”
আরও পড়ুনঃ সুইমিং পুল, কচ্ছপ, সিসিটিভি কী নেই! জামালের বাড়ি না রিসর্ট বোঝাই মুশকিল
দেগঙ্গার (North 24 Parganas) বিডিও ফাহিম আলমকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেছেন, “এই খবর আমার কাছে জানা নেই। খোঁজ খবর নিয়ে সবটা বলতে পারব।” বারাসত মহকুমার বিদ্যুৎ (Electricity) দফতরের ডিভিশনাল ম্যানেজার সমীরকান্তি গায়েন এই বিষয়ে বলেছেন, “অভিযোগ শুনেছি, তবে জমিজটের কারণে কোনও রকম সমস্যা হলে তা দ্রুত সমাধান করব আমরা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিডিওর সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা হবে। প্রয়োজন হলে জমির আলে পোস্ট বসানো যেতে পারে।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।