Newborn Babies: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে প্রসূতি বিভাগের বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযোগ, কী জানেন?
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শিশু বদলের অভিযোগে চাঞ্চল্য (নিজস্ব চিত্র)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বিতর্কে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ (North Bengal Medical) হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগ। এবার শিশু (Newborn Babies) বদলের চেষ্টার অভিযোগ। জন্মের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সদ্যোজাতর লিঙ্গের পরিচয় বদলে দেওয়ার অভিযোগে শুক্রবার শোরগোল পড়ে যায়। হাসপাতালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রসূতির বাড়ির লোকজন।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ ফাঁসিদেওয়ার (North Bengal Medical) শৈলানি জ্যোতের বাসিন্দা বৃষ্টি বিশ্বাস নামে এক প্রসূতি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, জন্মের পরপরই তাঁদের ডেকে পুত্র সন্তান দেখানো হয়েছে। শুক্রবার বলা হয়, কন্যা সন্তান হয়েছে। এখবর পেয়ে ওই প্রসূতির পরিবারের লোকজন উত্তরবঙ্গ মোডিক্যাল কলেজের প্রসূতি বিভাগে এসে জনে জনে জবাবদিহি করেন। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হয়। প্রসূতির এক আত্মীয়া ললিতা বিশ্বাস বলেন, ‘‘রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ আমাদের মেয়ে পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। সঙ্গে সঙ্গে লেবার রুমে আমাদের ডেকে দেখানো হয় ছেলে হয়েছে। সেই মতো একটি কাগজে ফর্ম ফিলআপ করে দিয়ে জরুরি বিভাগে জমা দিয়ে ভর্তির টিকিট আনতে বলা হয়। সব করে এদিন ভোরে বাড়ি ফিরে যাই। তার কিছুক্ষণ বাদে হাসপাতাল থেকে আমাদের খবর দেওয়া হয় বৃষ্টির ছেলে নয়, মেয়ে হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করতে প্রথমে খারাপ ব্যবহার করা হয়। পরে, চেপে ধরতেই প্রসূতি বিভাগের নার্স ও কর্মীরা ভুল স্বীকার করে জানান, পূত্র সন্তানই হয়েছে। লেখার ভুলে এই বিভ্রান্তি। সেই সদ্যোজাত এসএনসিইউতে রয়েছে। গিয়ে দেখে আসতে বলা হয়। সেই মতো এসএনসিইউতি গিয়ে মেয়ের পূত্র সন্তান দেখে আমরা শান্ত হই।’’
আরও পড়ুন: বিরাম নয় বারিধারায়! শনিবারও কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস
এই ঘটনায় হাসপাতালের (North Bengal Medical) লেবার রুমে স্বাস্থ্য কর্মীদের শিশু বদল চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ জোরালো হতে শুরু করেছে। কয়েক বছর আগে প্রসূতি বিভাগ থেকে এক সদ্যোজাতের চুরি যাওয়ার ঘটনায় রাজ্যজুড়ে তোলপাড় হয়েছিল। পরে পুলিশ উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ার এক পরিবার থেকে সেই সদ্যোজাতকে উদ্ধার করলেও প্রসূতি বিভাগের চূড়ান্ত গাফিলতির দিকটি আড়াল করা যায়নি। এবার শিশু বদলের চেষ্টার অভিযোগে ফের গাফিলতির দিকটি প্রকাশ্যে আসায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসেছে। হাসপাতালের অ্যাডিশনাল সুপার নন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমাদের হাসপাতালে প্রতিদিনই অনেক শিশুর জন্ম হচ্ছে। কিন্তু এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। তবে ফাঁসি দেওয়ার এক মহিলাকে প্রথমে পুত্র সন্তান দেখিয়ে পরে কন্যা সন্তান হওয়ার কথা বলার অভিযোগ আমরা পেয়েছি। কেন এমনটা হল, কোথাও গাফিলতি রয়েছে কিনা আমরা তা খতিয়ে দেখছি।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।