Siliguri: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান চিকিৎসকরা, কেন জানেন?
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে ফের সক্রিয় থ্রেট কালচার (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের পর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলিতে ‘থ্রেট কালচার’ বন্ধ করার ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিয়েছিল মমতা-সরকার। কিন্তু, তারপরও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে এখনও থ্রেট কালচার বহাল। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল (North Bengal Medical) কলেজে তৃণমূলের সরকারি কর্মচারি ইউনিয়নের এক প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে এক অধ্যাপক-চিকিৎসককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল।
গত মঙ্গলবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ মতো শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের স্টেকহোল্ডার কমিটির বৈঠক ডেকেছিলেন অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিৎ সাহা। অভিযোগ, সেখানে হাসপাতালের অ্যান্টনি ডি'রোজারিও নামে চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর হুমকি মুখে পড়েন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের অর্থোপেডিক বিভাগের প্রধান পার্থসারথি সরকার। তিনি বলেন, ‘‘একজন বিভাগীয় প্রধান হিসেবে সেখানে আমি উপস্থিত ছিলাম। কিন্তু, সকলের সামনে হাসপাতালের এক প্রভাবশালী চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী বৈঠকে ঢোকেন। তাঁর সেখানে ঢোকার কোনও এক্তিয়ার ছিল না। সেই কি না আমার উপস্থিতি নিয়ে হুমকি সুরে প্রশ্ন তোলেন। থ্রেট কালচার নিয়ে আমি সরব হওয়ায় এরা চটে গিয়েছে। তাই আমার মুখ বন্ধ করতে তিনি প্রকাশ্যে আমাকে হুমকি দেন। এতে আমি প্রাণনাশের আশঙ্কা করছি। ওই কর্মী দীর্ঘদিন ধরে হুমকি দিয়ে সব কিছু নিজের মতো করে যাচ্ছেন। ভয়ে তাঁর বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলতে পারে না।’’
আরও পড়ুন: সিজিওতে অপূর্ব-মর্গ কর্মীকে মুখোমুখি জেরায় পরস্পর বিরোধী তথ্য পেল সিবিআই
ওই চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে বিভিন্ন বিভাগের প্রধান চিকিৎসকরা অধ্যক্ষকে কার্যত ঘেরাও করেন বুধবার। শেষ পর্যন্ত চাপে পড়ে অভিযুক্তকে শোকজ করার আশ্বাস দেন অধ্যক্ষ। যদিও ডাক্তারদের দাবি, শোকজ নয়, ওই কর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশে এফআইআর করতে হবে। এই ঘটনায় অধ্যক্ষের (North Bengal Medical) ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। কারণ, তিনি ঘটনার সময় আশ্চর্যজনকভাবে নীরব থাকেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্টেকহোল্ডার কমিটির বৈঠকে হুমকির অভিযোগের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হবে।
কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজে থ্রেট কালচারের জেরে কোচবিহার-১ ব্লকের বিএমওএইচ দ্বীপায়ন বসু ও ওই ব্লকেরই আরও এক চিকিৎসক সংবেদ ভৌমিককে মেডিক্যাল কলেজে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল। বুধবার বিকেলে মেডিক্যাল কলেজ কাউন্সিলের বর্ধিত কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, এখন থেকে যারা পরীক্ষায় ভালো ফল করবে তারাই সিআর নির্বাচিত হবে বলেও ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ চিকিৎসক নির্মল মণ্ডল বলেন, ‘‘মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক না হয়েও দ্বীপায়ন বসু ও সংবেদ ভৌমিক মেডিক্যাল কলেজে ঢুকে ছাত্রদের বিভিন্ন রকমভাবে হুমকি দিতেন বলে জানা গিয়েছে। তাই ওই দুই চিকিৎসককে মেডিক্যাল কলেজে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এছাড়া সেফটি ও সিকিউরিটি সংক্রান্ত বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।