img

Follow us on

Friday, Nov 22, 2024

Kaliaganj: সন্তানের মৃতদেহ বহনকারী বাবার পাশে জয়কৃষ্ণ

মনে আছে, কিছুদিন আগে অ্যাম্বুল্যান্সের ভাড়ার টাকা না থাকায় মৃত স্ত্রীর দেহ কাঁধে নিয়ে বাড়ির (Kaliaganj) পথে হাঁটা দেওয়া জলপাইগুড়ির সেই জয়কৃষ্ণ দেওয়ানের কথা?

img

অসীম দেবশর্মার বাড়িতে সমাজসেবী অঙ্কুর দাস এবং জয়কৃষ্ণ দেওয়ান। নিজস্ব চিত্র

  2023-05-17 19:34:28

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টাকার অভাবে অ্যাম্বুল্যান্স না মেলায় সন্তানের মৃতদেহ ব্যাগে ভরে বাড়ি (Kaliaganj) ফেরার ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যে। অমানবিক ঘটনার নিন্দা সর্বত্র। এই পরিস্থিতিতে মৃত শিশুর বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এলেন জলপাইগুড়ির সমাজসেবী অঙ্কুর দাস ও স্ত্রীর মৃতদেহ কাঁধে বহনকারী জয়কৃষ্ণ দেওয়ান।

কী পরিচয় এই সমাজকর্মীদের?

অনেকেরই হয়তো মনে আছে, কিছুদিন আগে অ্যাম্বুল্যান্সের ভাড়ার টাকা না থাকায় মৃত স্ত্রীর দেহ কাঁধে নিয়ে বাড়ির (Kaliaganj) পথে হাঁটা দেওয়া জলপাইগুড়ির সেই জয়কৃষ্ণ দেওয়ানের কথা। সেদিন অসহায় দেওয়ান পরিবারকে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা দিয়ে সাহায্য করে হাজতবাস করেছিলেন জলপাইগুড়ির এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অঙ্কুর দাস। সেই ঘটনার পর আবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এবার উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অসুস্থ শিশুপুত্রের মৃত্যুর পর টাকার অভাবে অ্যাম্বুল্যান্স না পেয়ে জামাকাপড়ের ব্যাগে সন্তানের মৃতদেহ ভরে বাড়ি নিয়ে আসেন কালিয়াগঞ্জের মুস্তাফানগরের বাসিন্দা অসীম দেবশর্মা। টিভির পর্দায় মর্মান্তিক ও অমানবিক এই ঘটনা দেখতে পেয়ে শোকার্ত পরিবারকে সমবেদনা জানাতে মঙ্গলবার কালিয়াগঞ্জে অসীম দেবশর্মার বাড়িতে ছুটে এলেন জয়কৃষ্ণ দেওয়ান ও অঙ্কুর দাস। ছেলে হারানোর যন্ত্রণায় শোকার্ত অসীম দেবশর্মা ও তাঁর স্ত্রীকে সমবেদনা জানান তাঁরা। পাশাপাশি অসীমবাবুর কাছে সমস্ত ঘটনা শোনেন দুজনেই।

স্ত্রীর মৃতদেহ বহনকারী জয়কৃষ্ণ দেওয়ানের বক্তব্য

জয়কৃষ্ণবাবু মানবিক হয়েই অসীমবাবুর বাড়িতে মর্মান্তিক কথা শুনতে আসেন। তিনি বলেন, আমি দেখেছি বাড়ির (Kaliaganj) অবস্থা! অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য ৮০০০ টাকা দেওয়ার ক্ষমতা নেই। আরও বলেন, আগামী দিনে আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিশেষ দাবি নিয়ে যাবো। পশ্চিমবঙ্গের সকল সরকারি হাসপাতাল থেকে গরীব মৃত মানুষের দেহগুলিকে বিনা খরচায় বাড়িতে পোঁছানোর পরিষেবা চালু করতে হবে বলে মত প্রকাশ করেন তিনি। আর যদি দাবি না মানা হয়, তাহলে আমি আমার নগরডাঙ্গাতে অনশনে বসব বলে ঘোষণা করেন।

কী বললেন সমাজসেবী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক?

জলপাইগুড়ির স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অঙ্কুর দাস বলেন, ৫ই জানুয়ারি জলপাইগুড়িতে একইভাবে মৃতদেহ নিয়ে আসার জন্য সাহায্য পাননি জয়কৃষ্ণবাবু। আমি সহযোগিতা করতে গেলে আমাকেও জেলে যেতে হয়। জেলাশাসক থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী সকলকে আমরা চিঠি দিয়ে জানিয়েছি, গরীব মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য সরকার বিনামূল্যে অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করুক। জলপাইগুড়ির মতো মৃতদেহ বহন করার ঘটনা আরও ঘটবে বলে সতর্ক করেছিলাম, প্রশাসন শোনেনি। আর তাই ঘটেছে কালিয়াগঞ্জে (Kaliaganj)। কিছু দিন চুপচাপ থাকলেও এরপর আবার অ্যাম্বুল্যান্স অ্যাসোসিয়েশনের দাদাগিরি শুরু হয়ে যায়। কিন্তু তাতেও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি প্রশাসন। আগামী দিনে আমরা গরীব মানুষের জন্য বিনা পয়সায় অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবার জন্য প্রথমে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হব। আর না মানলে অরাজনৈতিকভাবে বৃহৎ আন্দোলন করব। আরও বলেন, জয়কৃষ্ণবাবু এবং অসীমবাবুকে নিয়ে আমরা এই সামাজিক আন্দোলন করব।

প্রশাসনের (Kaliaganj) ভূমিকা

এদিকে এই ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রশাসন। কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj) ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে গাড়ি পাঠিয়ে অসীম দেবশর্মা সহ পরিবারের লোকেদের নিয়ে গিয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ভুক্ত করা হয়। এ বিষয়ে রায়গঞ্জের মহকুমা শাসক কিংশুক মাইতি ফোনে জানিয়েছেন, এদিন ওই পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ডেকে আনা হয়েছিল। পরবর্তীকালে তাঁদের জবকার্ডও করে দেওয়া হবে। এখন বিনামূল্যে সরকারি হাসপাতালে কবে থেকে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা চালু হয়, সেটাই দেখার।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

bangla news

Bengali news

Kaliaganj

ambulance

Child Death

administration


আরও খবর


ছবিতে খবর