Siliguri: বাড়ির ফেরার পথেই ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা কেড়ে নিল বালিগঞ্জের শুভজিৎ মালির প্রাণ
ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত শুভজিতের খবর পেয়ে ভেঙে পড়েছেন স্ত্রী (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেয়ের জন্মদিন পালনের জন্য বাড়িতে আনন্দ উৎসবের তোড়জোড় চলছিল। মেয়ের কথা মেনে তাড়াতাড়ি বাড়ি পৌঁচ্ছাতে অভিশপ্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে চড়ে বসেছিলেন কলকাতার বালিগঞ্জের শুভজিৎ মালি। আর মেয়ের আবদার রাখতে পারলেন না শুভজিৎ। শিলিগুড়িতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার (Train Accident) খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন দুশ্চিন্তায় ছিলেন। পরে, মৃত্যু সংবাদ বাড়িতে আসতেই শোকের ছায়া নেমে আসে পরিবারে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুভজিতবাবু একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। কাজের সূত্রে প্রায়শই ভিন রাজ্যে যেতে হয় তাঁকে। সম্প্রতি গিয়েছিলেন নাগাল্যান্ডে। গিয়েছিলেন চার চাকার গাড়ি চালিয়ে। সেখানে গাড়ি সাপ্লাই দিয়ে ফিরছিলেন কলকাতায়। প্রায় পাঁচ বছর ধরে তিনি এই কাজ করে আসছেন। গাড়ি নিয়ে ভিন রাজ্যে যান, সাপ্লাই দিয়ে আবার ফিরে আসেন। কিন্তু, এবার মেয়ের আবদার মেটাতে দ্রুত বাড়ি ফেরার জন্য ট্রেনে চেপেই বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। কারণ, বাড়িতে ১১ বছরের মেয়ে রয়েছে তাঁর। সোমবারই ছিল মেয়ের জন্মদিন। ছোট্ট মেয়েটা আবদার করেছিল, বাবা বাড়ি এলে তবেই কেক কাটবে। সেই টানেই তাড়াতাড়ি বাড়ি ফেরার জন্য উঠেছিলেন অভিশপ্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে। কিন্তু, আর মেয়ের সঙ্গে দেখা হল না। মেয়ের জন্মদিনও উদযাপন করা হল না। নিউ জলপাইগুড়ি ছেড়ে আসার পর কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের ভয়াবহ দুর্ঘটনায় (Train Accident) কাড়ল কলকাতার শুভজিৎ মালির প্রাণ। তাঁর নিথর দেহ শিলিগুড়িতে (Siliguri) উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পড়ে রয়েছে। বালিগঞ্জের জামির লেনের বাড়িতে এখন শুধুই কান্নার রোল আর স্বজন হারানোর যন্ত্রণা।
আরও পড়ুন: "সুরক্ষা কবচ কোনও মাদুলি নয়", রেল দুর্ঘটনায় মন্তব্য নিয়ে মমতাকে তুলোধনা সুকান্তর
স্বামীর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তাঁর স্ত্রী। তিনি বলেন, "রবিবার রাতেও ফোন ওর সঙ্গে অনেকক্ষণ কথা হয়েছে। মেয়ের জন্মদিন নিয়ে আমাদের অনেক পরিকল্পনা করা হয়েছিল। জন্মদিনে বাবা আসছে শুনে মেয়েও খুব খুশি ছিল। বাড়িতে ফিরে ঘুরতে যাওয়ার কথাও বলেছিল। তবে, সোমবার সকালে ও ট্রেনে ওঠার পর ফোন করেনি। আমার সঙ্গে আর কথা হয়নি। এরপরই ট্রেন দুর্ঘটনার (Train Accident) খবর পাই। ফলে, সারাক্ষণ টিভির পর্দায় নজর ছিল। অবশেষে সব শেষ।" এরপর কান্নায় চোখ বুজে এল তাঁর।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।