কাঁথি পুর-প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলেন তৃণমূল কাউন্সিলররা, কেন জানেন?
সুবল মান্না (বাঁদিকে), শিশির অধিকারীদের প্রণামের মুহূর্ত (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাংসদ শিশির অধিকারীকে (Sisir Adhikari) প্রণাম করার খেসারত। গত কয়েকদিন কাঁথি পুর প্রধানর বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে জল্পনা চলছিল। এবার সেই জল্পনায় সত্যি হল। মঙ্গলবার কাঁথি পুরসভার তৃণমূলের ১৬ জন কাউন্সিলর পুরপ্রধান সুবল মান্নার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা করলেন। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব জেলা নেতৃত্বের নির্দেশে উপ-পুরপ্রধান সুপ্রকাশ গিরির নেতৃত্বে পুরপ্রধান সুবল কুমার মান্নার বিরুদ্ধে অনাস্থা জমা দিল। কাঁথির রাজনীতিতে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে। পুরপ্রধান সুবল কুমার মান্না আদালতে দ্বারস্থ হবেন বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।
গত কয়েকদিন আগে কাঁথির একটি স্কুলে উপস্থিত হন কাঁথি পুরসভার পুরপ্রধান সুবল কুমার মান্না। সেখানে আগে থেকে ছিলেন কাঁথির বর্ষীয়াণ সাংসদ শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari)। সেখানেই শিশিরবাবুকে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন সুবলবাবু। পুরপ্রধানের দাবি, এই জায়গায় পৌঁছেছেন সবকিছু গুরুদেবের জন্যই। তারপরে রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্ব পুরপ্রধানকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেন। কিন্তু, পুরপ্রধানের পদে ইস্তফা দিতে রাজি হননি তিনি। দলীয় নেতৃত্ব বৈঠক ডেকে ১৬ জন কাউন্সিলরকে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দেন। তারপরই পুর প্রধানকে সরাতে উদ্যোগ গ্রহণ করেন ১৬ জন কাউন্সিলর।
কাঁথি পুরসভার উপ-পুরপ্রধান সুপ্রকাশ গিরি বলেন, 'আমাদের দলের ১৭ জন কাউন্সিলর নির্বাচিত ছিলাম। দলের নির্দেশ মেনেই কাঁথি পুরসভার পুরপ্রধান নির্বাচিত করেছিলাম। দল নির্দেশ দিয়েছে বর্তমান পুরপ্রধানকে পদত্যাগ করার জন্য। কিন্তু, তিনি দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কথা রাখেননি। আমরা সৌজন্য দেখিয়েছিলাম। ১৬ জন কাউন্সিলর পুরপ্রধান সুবল মান্নার বিরুদ্ধে অনাস্থা জমা করলাম।
কাঁথি পুরসভার পুরপ্রধান সুবল কুমার মান্না অনাস্থা প্রসঙ্গে বলেন, 'আমার কাজ হচ্ছে সব কাউন্সিলরদের আগলে রাখা। শিশির অধিকারীকে (Sisir Adhikari) প্রণাম করার জন্য যদি দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়, সেটা জনগণ বলবে! আমি এ- বিষয়ে বেশি কিছু মন্তব্য করব না। এটা প্রশাসনিক পদ, যা কিছু হবে কাগজের মাধ্যমে।'
এ-নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি। কাঁথি পুরসভার বিজেপি প্রতীকে জেতা কাউন্সিলর সুশীল দাস বলেন, 'এটা তাঁর দলের ব্যাপার। এটা সম্পূর্ণ অবৈধ পুরবোর্ড। ছাপ্পা দিয়েই সব কাউন্সিলররা জিতেছেন। কাটমানি পাচ্ছেন না বলেই পুরপ্রধানকে সরিয়ে দিচ্ছে। প্রণাম করাটা সৌজন্য। তৃণমূলের কোনও আইনশৃঙ্খলা নেই। যিনি কাটমানি বেশি দেবেন, তিনিই কাঁথি পুরসভার পুরপ্রধান হবেন।'
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।